কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: বেআইনি নিয়োগ পাওয়া 1698 জন গ্রুপ ডি কর্মীকে (Group D Recruitment Scam) আর একদিনও স্কুলে চাকরি করতে দিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এখনই তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিতে চান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । তাই বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটের মধ্যে বোর্ডকে জানাতে হবে, এঁদের কতজন কোথায় এখনও কর্মরত । তারপরেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেবে আদালত ।
গ্রুপ ডি ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । আজ বেলা তিনটের মধ্যে যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদকে । নাম, স্কুলের নাম, ঠিকানা নিয়ে বিকেল তিনটেয় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে । আর নয় । যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁরা এক মুহূর্তও আর চাকরি করতে পারবেন না । একদিনও এঁদের স্কুলে ঢুকতে দেব না।"
ওএমআর শিটে নম্বর 43 অথচ শূন্য পেয়েছেন চাকরি প্রার্থী । সিবিআই এই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার পরেই এ ভাবে নিযুক্তদের তালিকার বিষয়ে জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । এই তালিকা পেশ করার জন্য পর্ষদ আদালতের কাছে সময় চেয়ে আর্জি জানায় । কিন্তু বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সময় দিতে রাজি হননি ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "কোনও সময় দেওয়া হবে না । গতকাল পেয়েছেন ওএমআর শিট । আজও হয়নি ?"
আরও পড়ুন: কমিশনের ওয়েবসাইটে অবিলম্বে 100টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতির
জবাবে পর্ষদ জানায়, রুল অনুযায়ী ভুল সুপারিশ হলে সরে যেতে হবে । বেতনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতর । কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় যেই সময়ে সভাপতি ছিলেন তখন 1698 জন অশিক্ষক কর্মীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে । এ ব্যাপারে আদালত বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের বিষয়ে সবিস্তার তথ্য বৃহস্পতিবার বিকেল 3টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদকে ।