কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দায়ের করা মামলায় আগামী 18 অক্টোবরের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য অনুমোদিত তহবিলের বিষয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রকে। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীদের কোনও বক্তব্য থাকলে তারা জানাবে। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। আগামী 22 নভেম্বর ফের শুনানি।
এর আগের শুনানিতে রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন এত কম কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। রাজ্যে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের থেকেও শিক্ষকদের বেতন কম কেন? পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাবদ কেন্দ্র কত টাকা দিচ্ছে? এবং রাজ্যই বা কত টাকা দেয় এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যকে হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বুধবার রাজ্য জানায়, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। তারা টাকা না-বাড়ালে রাজ্যের পক্ষে এদের বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয়। 60-40 রেশিয়োতে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্র শেষ কয়েক বছর যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করেছে সেই পরিমাণ টাকা পরে অনুমোদন দেয়নি। ফলে বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়।
কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "এই তহবিল বাড়া, কমা হয় শূন্যপদের বাড়া কমার নিরিখে। তবে ফান্ড অনুমোদদের বিষয়ে জানাতে তিনি আদালতের কাছে সময় চান।" উল্লেখ্য, সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে পার্শ্বশিক্ষকদের নিযুক্ত করা হয়। অন্যান্য রাজ্যে পার্শ্ব শিক্ষকরা অনেক বেশি বেতন পাচ্ছে এই রাজ্যের থেকে। পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনের 60 শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং 40 শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের দাবি, তাঁরা সমস্ত টাকা দিয়ে দিচ্ছে কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকা কম পাচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষকরা।
পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে আইনজীবী বিশ্বরুপ ভট্রাচার্য বলেন, "2022-23 এ রাজ্যের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে 1522 কোটি টাকা। তার মধ্যে বেতনের জন্য রয়েছে 1167 কোটি টাকা। গ্রুপ-ডি দের থেকে এই শিক্ষকদের বেতন কম। 21246 জন পার্শ্বশিক্ষক রয়েছে রাজ্যে। কেন্দ্র-রাজ্যের দড়ি টানাটানিতে ভুগতে হচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের।" শুনানি শেষে বিচারপতি কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছেন চলতি বছরে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য কী পরিমাণ অর্থ তহবিল থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইনের হিন্দি নামকরণের বিরুদ্ধে সরব রাজ্য বার অ্যাসোসিয়েশন, চিঠি মোদি-মুর্মুকে