কলকাতা, 4 জুলাই: হাইকোর্টে ঝুলে রইল ভাঙড়ের 82 জন আইএসএফের প্রার্থীর মনোনয়ন ভাগ্য ৷ 15 দিন পর ফের শুনানি ৷ তখনই বিষয়টির নিষ্পত্তি করবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকে'র ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি দেবাংশু বসাকের মন্তব্য, এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ভিন্ন রায় রযেছে। তাই এই মামলার বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন। বেঞ্চের মন্তব্য, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের বিষয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে আদালত এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করছে না। বিচারপতি রাজা শেখার মান্থা পুলিশকে এসকর্ট করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন এই 82 জন প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্ত এদের মনোনয়ন জমার পথে হামলা হয়। তা সত্ত্বেও পরে এই প্রার্থীরা দেরিতে মনোনয়ন জমা করেন। মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হওয়ার জন্য এদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করে কমিশন।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন জেলার কয়েকশো প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছে, এই 82 জন আইএসএফ প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সিঙ্গল বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। 15 দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে। যদিও 15 দিন পর পঞ্চায়েত ভোটই হয়ে যাওয়ার কথা। তাই আপাতত এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এই প্রার্থীরা ভোটে লড়তে পারছেন না। উল্লেখ্য, আইএসএফ প্রার্থীদের মতোই ভাঙড়ের 19 জন সিপিএম প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম সরে যাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলাতেও 19 জন সিপিএম প্রার্থীকে আবার ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কমিশন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে তারা বিচারপতি সিংহের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।