কলকাতা, 26 জুন: 7 লক্ষ টাকায় নদিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এক ব্যক্তিকে । কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি পাননি মইদুল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি । থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ এই মামলার শুনানিতে, কলকাতা হাইকোর্টে অভিযুক্ত দালালরা সোমবার জানিয়েছে তারা টাকা ফেরত দিতে চায় ৷
এর প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়েছেন, 4 জুলাইয়ের মধ্যে অভিযুক্তদের মইদুল মণ্ডলকে টাকা ফেরৎ দিতে হবে ৷ এদিন মামলার শুনানিতে দুই অভিযুক্ত দালাল জানায়, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রিতি দিয়ে নয় বরং ঋণ হিসেবে তারা 7 লক্ষ টাকা নিয়েছিল ৷ এরমধ্যে 1.9 লক্ষ টাকা টাকা শোধ করা হয়েছে বাকি টাকাও ফেরত দেওয়া হবে ৷ এরপরেই বিচারপতি সময় বেঁধে দিয়ে বাকি টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন ৷
এদিন এই মামলার শুনানিতে আদালতে সিবিআইয়েকর তরফে কলকাতা হাইকোর্টে বলা হয়, তারা স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে । তাই এই মামলার তদন্তও করতে চায় সিবিআই । আদালত নির্দেশ দিলে তাদের কোনও আপত্তি নেই ।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ 11 বছর ধরে স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষিকা, অবিলম্বে চাকরি ছাড়তে নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালত সুত্রে জানা গিয়েছে, 2021 সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য 7 লক্ষ টাকা দেন চাকরিপ্রার্থী মইদুল মণ্ডল । উত্তর 24 পরগনার সাব্বির আহমেদ ও হরিণঘাটার সিয়াজুল বাঙ্গুয়ারকে টাকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চান মইদুল । 1.9 লক্ষ টাকা ফেরত দেয় দুই দালাল । বাকি টাকা ফেরৎ না-পাওয়ায় মে মাসে হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ করেন মইদুল ।
23 জুন প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারায় এফআইআর রুজু করে হরিণঘাটা থানা । সেই এফআইআরের ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । এর আগে নদীয়ার তেহট্রর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল । সেই ঘটনায় বিচারপতি মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ।