কলকাতা, 7 মে: স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা করার উপর নিষেধাজ্ঞা আগেই ছিল, এবার সেই নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ স্কুলের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না, এই বিষয়ে বহু বছর ধরেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । তবু বহু শিক্ষক সেই নিয়মে ফাঁকি দিয়ে দেদার ব্যাচের পর ব্যাচ পড়িয়ে চলেছেন বাড়িতে । তবে এবার তাঁদের জন্যই কঠোর ব্যবস্থা নিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদি কেউ হাইকোর্টের এই নির্দেশ না-মানে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতরকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ এনিয়ে কী মত শিক্ষক সংগঠনগুলির ?
হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন এই বিষয়ে বলেন, "বাম আমল থেকেই এই নিয়ম জারি রয়েছে। তখনও বহু শিক্ষক বাড়িতে গৃহশিক্ষকতার কাজ করছিলেন। এর বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। আমাদের সংগঠন গৃহশিক্ষকতার বিরোধীতা করে। এব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই।" উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখাও করে সর্বভারতীয় গৃহশিক্ষক সংগঠনের পাঁচজনের প্রতিনিধি দল।
ওই সংগঠনের সম্পাদক সোহম ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে গৃহশিক্ষকতা করেন এমন হাইস্কুলের 622 জন এবং প্রাথমিকের 96 জন শিক্ষকের নামের তালিকা তুলে দিই। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় সম্পর্কেও তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করি। উনি অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের।" সোহমবাবুর আরও বক্তব্য, শিক্ষাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা ছাড়তে হবে। আইন আগেও ছিল। রাজ্য সরকার বারবার বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তা যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছিল না। প্রয়োজনে সরকার এদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিক। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হোক, বেতন আটকে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: অমর্ত্য সেনের জমি খালি করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
2021 সালে এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে 'গৃহশিক্ষক কল্যণ সমিতি' নামে এক সংগঠন। সেই মামলাতেই গৃহশিক্ষকতায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকদের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পরবর্তীতে গ্রাম বা শহরে যেখানেই হোক কোনও স্কুলশিক্ষক যদি গৃহশিক্ষকতা করেন তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷