কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশ-সিআরপিএফ-এর সহযোগিতা নিয়ে সভায় যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের ভুমিকার এই প্রথম প্রশংসাও করলেন খোদ বিচারপতি। কারণ দু'দিন ধরে ওই স্থানে চলা শাসকদলের ধর্না তুলে দিয়েছে পুলিশ ৷ আর একথা শুনে বিচারপতি এজলাসেই কার্যত হাসতে হাসতে বলেন, "বহু বছর পরে দেখলাম রাজ্য এমন ক্ষেত্রে ব্যাবস্থা নিয়েছে। এটা ভালো লাগলো।"
হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে কোনও অনুমতি ছাড়াই বিজেপির সভার সামনে দু'দিন ধরে তৃণমূলের ধর্না চালানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। তার পরই এদিন সকালে সেই ধর্না মঞ্চ সরিয়ে দেয় পুলিশ। ভারতীয় জনতা পার্টি সতীশ সামন্তের জন্মদিন পালন করবে হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউণ্ডে। কিন্তু তাতে বাদ সাধছিল রাজ্যের শাসক দল বলে অভিযোগ। এদিন বিচারপতি বলেন, "আদালত বরাবর বলছে সব দলের সভা, সমিতি, ধর্নার অধিকার আছে। কিন্তু সেটা সব রকম অনুমতি নিয়ে।"
রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, "শাসক তৃণমূল কোনও অনুমতি নেয়নি। এসপি'র সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সকাল থেকে পদক্ষেপ করা হয়েছে। এসপি নিজে নজরদারি করছেন।" এরপরই বিচারপতি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, "অনুমতি না নিয়েই এটা করছে ! যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিতে হবে। এমন ক্ষেত্রে পুলিশকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। একই জায়গায় অন্য দলকে অনুমতি দিলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হবে। রাজ্য পুলিশকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে দেখতে হবে যাতে কোনও বেআইনি কিছু না হয়।"
রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিতেই বিচারপতি হাসতে হাসতে বলেন, "বহু বছর পরে দেখলাম রাজ্য এমন ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেছে । এটা ভাল লাগল।" উল্লেখ্য, হলদিয়ায় একটি মাঠে শহিদ স্বরণে সভা বিজেপির। সভায় থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ সেই সভার অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই সভায় ঢোকার মূল ফটকের বাইরে তৃণমূলকে ধর্না করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তারা ধর্নার নামে বিজেপি'র ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন সব ছিড়ে নষ্ট করছে দাবি করে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন
হাওড়া-বর্ধমান লোকালে চলল গুলি, আত্মঘাতী কনস্টেবল
সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল মহুয়া মামলার শুনানি, আগামী বছর মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত
সংসদ হামলার 'মাস্টার মাইন্ড' ললিতের সঙ্গে তাপস রায়ের ছবি ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি মালব্যর