কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: দক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লা কালীমাতা পুজো উপলক্ষে 10 হাজার ছাগ বলি দেওয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা । যদিও তাতে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের সাফ বক্তব্য, উৎসব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত। তবে পুজো কমিটি যাতে আইন অনুযায়ী কাজ করে তা সুনিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মার্চ মাসে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে।
মামলাকারী আইনজীবী রাচিত লাকমনি সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করে জানান, লাইসেন্স ছাড়া কোনও পশুবলি দেওয়া উচিত নয় । যত্রতত্র পশুবলিও দেওয়া যেতে পারে না। অবিলম্বে এটা বন্ধ করা রাজ্যের উচিত বলেও সওয়াল করেন তিনি। রাজ্য সরকারের আইন অনুযায়ী, পশুদের উপর নৃশংসতা বন্ধ করা প্রয়োজন বলেও আদালতে জানান তিনি। 1950 সালের পশুবলি আইন অনুযায়ী, বলি দেওয়ার আগে প্রতিটি ছাগল সুস্থ কি না, তার সার্টিফিকেট পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে নিতে হয়। রাজ্য সরকারের আইন অনুযায়ী পশুদের উপর নৃশংসতা বন্ধ করা প্রয়োজন বলেও আদালতে সওয়াল করেন তিনি।
রাজ্যের আইনজীবী আমিতেশ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "বিষয়টা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আদালত মনে করলে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করুন।"
দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, এই ধরনের উৎসবের একটা স্পিরিট রয়েছে। সেটা হটাৎ করে বন্ধ করা যায় না। বিভিন্ন রাজ্যে যে মোরগ লড়াই হয়, উত্তর ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা জাল্লিকাট্টুর মতো বিপদজনক খেলা তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হত। তবে প্রশাসনের কর্তব্য আইন অনুযায়ী যাতে সবকিছু করা হয় সেটা সুনিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন