কলকাতা, 11 মে: আগামী 15 মে'র মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা পুনর্বহালের নির্দেশ দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনওরকম হস্তক্ষেপ নয় বলেও জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে। এর আগে বিচারপতি মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ এই প্রাক্তন আমলার নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য।
এদিন রাজ্যের আইনজীবী দেবাশিস ঘোষ বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চ পঙ্কজ দত্তকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সাত জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা তখনই দেওয়া হয় যখন থ্রেট পারসেপশন থাকে ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে পঙ্কজ দত্তের বিরুদ্ধে তেমন কোনও হুমকি নেই।" প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, "কিন্তু হঠাৎ করে কারও নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা যায় না। যদি প্রত্যাহার করতে হয় তাহলে বাকি 6 জনেরও করা উচিত ছিল। একজনের কেন? এটা ঠিক নয়।" রাজ্যের তরফে ফের বলা হয়, "এটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী রাখা। দরকার নেই তবু রাখতে হবে।"
পুলিশ কনস্টেবল শ্রী দীপক ভৌমিক তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। গত 11 জানুয়ারি আচমকায় বারুইপুর পুলিশ সুপার টেলিফোনে কল করে জানিয়ে তা প্রত্যাহার করে নেয়। পঙ্কজ দত্ত একজন প্রাক্তন আইপিএস। তাঁর নিরাপত্তা এইভাবে প্রত্যাহার করা আইন বিরুদ্ধ ৷ এই দাবিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঙ্কজবাবু। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত পঙ্কজবাবু প্রায় 30 বছর চাকরির পর অবসর গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা বিষয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, পুলিশের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা অবসরের পরেও রাজ্যের তরফ থেকে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন পঙ্কজবাবু। পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা ফেরানোর নির্দেশের সময় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আজই বিচারপতি মান্থা কালিয়াগঞ্জ নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিন সদস্যের সেই সিটে অন্যতম সদস্য হলেন পঙ্কজ দত্ত ৷