কলকাতা, 22 জুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ বুধবার গভীর রাতে রাজভবন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ এতে বাংলার নির্বাচন কমিশনার হিসাবে তাঁর নিয়োগ বাতিল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ পাশাপাশি ভোট প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
8 জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ৷ তারপর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে 17 জুন, শনিবার রাজীবাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ স্ক্রুটিনির কাজ আছে বলে তা এড়িয়ে যান নির্বাচন কমিশনার ৷ তিনি রাজ্যপালকে জানান, অন্য কোনও দিন যেতে পারেন ৷ তারপর থেকে রাজভবনমুখী হননি রাজীবা সিনহা ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, এ নিয়ে তাঁর উপর চরম ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তাই রাজীবা সিনহার নির্বাচন কমিশনার পদে জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যের সাংবাধিক প্রধান ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়া কীভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ইতিহাসে এমন অবস্থা আগে কখনও তৈরি হয়নি । এতে সাংবিধানিক সংকটও দেখা দিতে পারে ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত ৷ 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসাত্মক স্মৃতি ফির আসছে বলে মনে করছে বিরোধী শিবির ৷ তাই রাজ্যপালের কাছে গণতন্ত্র রক্ষায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে বিজেপি ৷ গত শনিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন ৷
আরও পড়ুন: 'ওহে নন্দলাল, দুই গালে চপেটাঘাত গাল হল লাল', মমতাকে পালটা সুকান্তর
বৈঠকে রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন, আইন মেনে শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে ৷ তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি ৷ এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত বলেন, "রাজ্যপাল জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷