কলকাতা, 10 মে: নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন সদ্য নির্বাচিত সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস ৷ আর সেকারণেই নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নব নির্বাচিত বিধায়ক। সেইসঙ্গে দলবদলের জল্পনাতেও জল ঢাললেন কংগ্রেস বিধায়ক ৷
এই মুহূর্তে রাজ্যে একজনই কংগ্রেস বিধায়ক ৷ সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে রাজ্যে খাতা খুলেছে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ৷ আর তাঁকে নিয়েই সম্প্রতি মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ৷ আর অভিষেকের সেই মন্তব্য প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বাইরন নিজেও ৷ আর তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে ৷ প্রশ্ন ওঠে তবে কী বাম-কংগ্রেস জোটের বিধায়কও তৃণমূল শিবিরের দিকে পা বাড়াচ্ছে ? যদিও সেই জল্পনায় ইতি টানলেন বাইরন নিজেই ৷ সেইসঙ্গে বিধায়ক হওয়ার পর থেকে লাগাতার হুমকি ফোন পাওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিধায়ক। কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানিয়েও কোনও ফল না-হওয়ার জেরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে আগামী সোমবার মামলার শুনানি হবে।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাইরন বিশ্বাসকে বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থী করার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিধায়কের ৷ আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বাইরন। পরে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা যায়। পাশাপাশি বিধানসভাতেও হাজির হয়েছিলেন বাইরন ৷ মাঝে তাঁর দলবদলের জল্পনাও ছড়িয়েছিল। এমনকী তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলেও রটে যায়।
যদিও তিনি পরে নিজেই ঘোষণা করে জানান, দল বদলের কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি যে দলীয় প্রতীকে জয়ী হয়েছেন সেই প্রতীকেই থাকবেন বলেও জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন বাইরন। এদিন টিপ্পনী কেটে বাইরন বলেন, "আমার কোনও অভাব নেই। তৃণমুল কংগ্রেস নেতাদের থেকে দামী গাড়িতে চড়ে ঘুরি। আমি কেন দল বদলাতে যাবো?" তবে দল বদল না-করলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাইরন ৷
আরও পড়ুন: দাঁড়িভিটে 2 ছাত্রের মৃত্যু, 5 বছর বাদে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের