কলকাতা, 19 অগস্ট : দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (SBSTC)-এর উদ্যোগে ডুয়েল ফুয়েল ব্যবস্থায় একটি পুরোনো বাসকে রাস্তায় নামানো হল। এই বাসটি ডিজেল ও সিএনজির মিশ্রণে চলবে ৷
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "সম্প্রতি আমরা একটি সিএনজি বাসের উদ্বোধন করেছি। আজ যে বাসটির উদ্বোধন করলাম সেটি শুধু সিএনজি নয়, সিএনজি ও ডিজেল এই দু‘টোতেই চলবে। এই নতুন পদ্ধতিতে বাস চালানো হলে কমবে জ্বালানির খরচ। এক-দেড় মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে এই বাসটি। এরপর সবদিক খতিয়ে দেখে ধাপে ধাপে বাকি বাসগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বেসরকারি বাসগুলির ক্ষেত্রেও আমি তাদের উৎসাহ দেব যে, তারা যেন ধীরে ধীরে সিএনজির বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেন।’’ এই মুহূর্তে রাজ্যে সিএনজি পাম্প যথেষ্ট পরিমাণে না থাকায় সিএনজিতে বাস চালানোর খরচ বা বাসের ভাড়া বেড়ে যেতে পারে কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, " গেইলের (GAIL) সঙ্গে আমাদের যে চুক্তিটি হয়েছে তাতে পাইপলাইন বসানোর পরেও সিএনজি যে দামে দেওয়া হবে সেই একই দামে এখনও দেওয়া হবে। দামের ক্ষেত্রে কোনওরকম হেরফের হবে না।"
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : গ্রামাঞ্চলে 50 শতাংশ টিকাকরণ হলেই লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি, জানালেন মমতা
বেলঘড়িয়ার ডিভিশন্যাল ওয়ার্কশপে এসবিএসটিসির WB-39A/7013 বাসটিকে এই পদ্ধতিতে চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। বাসের ইঞ্জিন প্রস্তুত করে বাসটিকে এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে বাসটি ডিজেল ও সিএনজির মিশ্রণে চলতে পারে।
ইন্ডিয়ান বায়োগ্যাস অ্যাসোসিয়েশনের রিজিওনাল অ্যাডভাইজার চিন্ময় চক্রবর্তী এই বাসটিকে প্রস্তুত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ৷ তিনি বলেন, "বিভিন্ন গাড়ির মডেলকে মাথায় রেখে এই ডুয়েল ফুয়েল কিট ও গাড়ির ইঞ্জিন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর আগেও বেঙ্গালুরুর ট্রাকে এই ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে। তার ফলও বেশ ভালই। বাসটিকে প্রস্তুত করতে খরচ পড়েছে প্রায় 2.5 লক্ষ টাকা।"
আরও পড়ুন : Plane Hijack Threat: বিমান হাইজ্যাকের হুমকি ফোন, নিরাপত্তার কড়াকড়ি কলকাতা বিমানবন্দরে
বাসটির ইঞ্জিনে একটি ডুয়েল ফুয়েল কিট ও একটা সিএনজি ট্যাংক বসানো হয়েছে। ট্যাঙ্কের পাইপলাইন থেকে সিএনজি গ্যাস গিয়ে ঢুকবে ডুয়েল ফুয়েল কিটে। অন্যদিকে ফুয়েল ট্যাঙ্ক থেকে ডিজেল এসে ঢুকবে কিটে। 60 শতাংশ ডিজেল 40 শতাংশ সিএনজির মিশ্রণে চলবে বাসটি। এতে বাস চালানোর খরচ কমবে প্রায় 40 শতাংশ।