ETV Bharat / state

ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে গ্রিন জো়নে চলতে পারে বাস, চিঠি বাস মালিকদের - গ্রিন জো়ন

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে গ্রিন জো়নে বেসরকারি বাস চালানো যাবে। যদিও 20 জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যেমন যাবে না, তেমনই বাসগুলিকে গ্রিন জো়নের মধ্যেই থাকতে হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাস চালানোর পক্ষে মত দিলেও সোমবার গ্রিন জো়নে চালানো হয়নি একটি বেসরকারি বাসও ।

bus
মুখ্যমন্ত্রী
author img

By

Published : May 7, 2020, 9:09 PM IST

কলকাতা , 7 মে : লকডাউন ৷ 22 মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রী পরিষেবা ৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাস মালিক থেকে চালকরা। তবে , কেন্দ্র এবং রাজ্য ইতিমধ্যেই গ্রিন জো়নে 20 জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ যদিও বাসচালকেরা গ্রিন জো়নে বাস চালাতে নারাজ ৷ বিষয়টি নিয়ে বাস মালিকরা নানা অজুহাতও দেখিয়েছেন ৷ তবে এখন সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে বাস মালিকরা রাজ্য সরকারের সাহায্যে কী ভাবে গ্রিন জো়নে পরিষেবা দিতে পারেন সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান তাঁরা। এছাড়াও বাস মালিকেরা ভাড়া বৃদ্ধিরও দাবি জানান ৷

দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। বন্ধ রয়েছে গণ পরিবহন ও ট্রেন পরিষেবা। তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে গ্রিন জো়নে বেসরকারি বাস চালানো যাবে। যদিও 20 জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যেমন যাবে না, তেমনই বাসগুলিকে গ্রিন জো়নের মধ্যেই থাকতে হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাস চালানোর পক্ষে মত দিলেও সোমবার গ্রিন জো়নে চালানো হয়নি একটি বেসরকারি বাসও।

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইতিমধ্যেই গ্রিন জো়ন জেলার RTO ও ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বাস মালিকদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তারপর থেকেই আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি যে দীর্ঘ কর্মহীনতার ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা । তাই এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি আমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে গ্রিন জো়নে বাস চালাতে আমরা এখন প্রস্তুত।"তিনি আরও বলেন যে, "বাস মালিকরা যেমন আগেই বলেছে যে বর্তমান ভাড়ায় মাত্র 20 জন যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালাতে হলে সারাদিনে বাসের জ্বালানি খরচ উঠবে না। পাশাপাশি চালক ও কর্মীদের সুরক্ষার বিষয় নিয়েও চিন্তিত আমরা। তাই যাত্রী সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় তাহলে আমরা আবার বাস পথে নামাতে পারি। পাশাপাশি চালক ও বাসের কর্মীদের সুরক্ষার দিকেও সরকারকে দৃষ্টিপাত করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নতুবা সরকারের তরফে ভর্তুকি দিয়েও বাসগুলি চালানো যেতে পারে।"

অন্যদিকে , ঝাড়গ্রাম জেলা বাস অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপক পাল বলেন যে, "জেলা প্রশাসনের সাথে এখানকার বাস মালিকদের বৈঠক হয়েছে। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা জানা নেই। অন্যদিকে আমাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাই আমরা বিবেচনা করে আধিকারিকদের জানিয়েছি যে আমরা গ্রিন জো়নে পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক। তবে বাসের ভাড়া না বাড়ালে তা সম্ভব নয়। এছাড়াও ,বাস চালকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথাও আমরা বলি ৷ জেলা প্রশাসকের তরফে পরীক্ষামূলকভাবে অন্তত দুটি মিনিবাস পথে নামাবার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন বাস মালিকরা। তিনি আরও বলেন যে," চালকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও রাজ্য সরকারের তরফে জেলা বাস সংগঠিনগুলিকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। নতুবা, যে জেলাগুলি গ্রিন জো়নের মাত্র 20 জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো অসম্ভব। জেলা স্তরের রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয় আগেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন বাস সংগঠনগুলি।

কলকাতা , 7 মে : লকডাউন ৷ 22 মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রী পরিষেবা ৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাস মালিক থেকে চালকরা। তবে , কেন্দ্র এবং রাজ্য ইতিমধ্যেই গ্রিন জো়নে 20 জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ যদিও বাসচালকেরা গ্রিন জো়নে বাস চালাতে নারাজ ৷ বিষয়টি নিয়ে বাস মালিকরা নানা অজুহাতও দেখিয়েছেন ৷ তবে এখন সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে বাস মালিকরা রাজ্য সরকারের সাহায্যে কী ভাবে গ্রিন জো়নে পরিষেবা দিতে পারেন সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান তাঁরা। এছাড়াও বাস মালিকেরা ভাড়া বৃদ্ধিরও দাবি জানান ৷

দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। বন্ধ রয়েছে গণ পরিবহন ও ট্রেন পরিষেবা। তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে গ্রিন জো়নে বেসরকারি বাস চালানো যাবে। যদিও 20 জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যেমন যাবে না, তেমনই বাসগুলিকে গ্রিন জো়নের মধ্যেই থাকতে হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাস চালানোর পক্ষে মত দিলেও সোমবার গ্রিন জো়নে চালানো হয়নি একটি বেসরকারি বাসও।

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইতিমধ্যেই গ্রিন জো়ন জেলার RTO ও ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বাস মালিকদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তারপর থেকেই আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি যে দীর্ঘ কর্মহীনতার ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা । তাই এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি আমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে গ্রিন জো়নে বাস চালাতে আমরা এখন প্রস্তুত।"তিনি আরও বলেন যে, "বাস মালিকরা যেমন আগেই বলেছে যে বর্তমান ভাড়ায় মাত্র 20 জন যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালাতে হলে সারাদিনে বাসের জ্বালানি খরচ উঠবে না। পাশাপাশি চালক ও কর্মীদের সুরক্ষার বিষয় নিয়েও চিন্তিত আমরা। তাই যাত্রী সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় তাহলে আমরা আবার বাস পথে নামাতে পারি। পাশাপাশি চালক ও বাসের কর্মীদের সুরক্ষার দিকেও সরকারকে দৃষ্টিপাত করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নতুবা সরকারের তরফে ভর্তুকি দিয়েও বাসগুলি চালানো যেতে পারে।"

অন্যদিকে , ঝাড়গ্রাম জেলা বাস অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপক পাল বলেন যে, "জেলা প্রশাসনের সাথে এখানকার বাস মালিকদের বৈঠক হয়েছে। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা জানা নেই। অন্যদিকে আমাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাই আমরা বিবেচনা করে আধিকারিকদের জানিয়েছি যে আমরা গ্রিন জো়নে পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক। তবে বাসের ভাড়া না বাড়ালে তা সম্ভব নয়। এছাড়াও ,বাস চালকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথাও আমরা বলি ৷ জেলা প্রশাসকের তরফে পরীক্ষামূলকভাবে অন্তত দুটি মিনিবাস পথে নামাবার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন বাস মালিকরা। তিনি আরও বলেন যে," চালকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও রাজ্য সরকারের তরফে জেলা বাস সংগঠিনগুলিকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। নতুবা, যে জেলাগুলি গ্রিন জো়নের মাত্র 20 জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো অসম্ভব। জেলা স্তরের রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয় আগেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন বাস সংগঠনগুলি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.