ETV Bharat / state

চলতি বছরে ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান BSNL-এর - Mobile

BSNL-এর দুরাবস্থার জন্য জিওকেই দায়ি করছেন কলকাতা টেলিফোনসের সার্কেল সেক্রেটারি ৷ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, সরকার এই ব্যাপারে মদত দিচ্ছে ৷

টেলিফোন ভবন
author img

By

Published : Jul 19, 2019, 10:32 PM IST

কলকাতা, 19 জুলাই : কেটে গেছে বেশ কয়েকটা সপ্তাহ ৷ এখনও অচলাবস্থা কাটেনি BSNL-এর । গত সাত মাস ধরে বেতন পাননি দপ্তরের কর্মীরা । লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে যোগাযোগ ভবনে । কবে সমস্যার সমাধান হবে জানেন না কেউ । এরই মধ্যে সামনে এল একটি তথ্য৷ চলতি বছরে ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে BSNL ৷

এক সময় BSNL-এর হাত ধরে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছিল ফোন পরিষেবা৷ কিন্তু, আজ প্রবল আর্থিক ভাবে ধুঁকছে তারাই৷ একাধিক নতুন পরিকল্পনা আনা হলেও আমজনতা মুখ ফিরিয়েছে BSNL-র দিক থেকে৷ গোটা দেশে এই বছর ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে BSNL ৷ কলকাতায় লোকসানের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা । এ প্রসঙ্গে, BSNL-এর কলকাতা টেলিফোনসের সার্কেল সেক্রেটারি শিশিরকুমার রায় বলেন, "এক সময় বলা হয়েছিল BSNL-কে স্পেকটাম চার্জ দিতে হবে না । কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হবে না । ভারতের সর্বত্র টেলিফোন পরিষেবা এবং মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার জন্য BSNL-এর লাভ হয় না সে ভাবে । সেই কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু 2000 সাল থেকে যাবতীয় আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার । তারপর থেকেই চরম সংকট শুরু হয়েছে ৷" তিনি আরও বলেন, "লোকসানের অন্যতম কারণ BSNL-কে এখনও পর্যন্ত মোবাইল পরিষেবায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না ।"

BSNL-এর এই অবস্থার জন্য শিশিরকুমার রায় জিওকেই দায়ি করেছেন ৷ সরকারও সেই বিষয়টিতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর ৷ তিনি জানান, BSNL তৈরির সময় কর্মচারী এবং অফিসারের সংখ্যা ছিল 3 লাখ 75 হাজার । এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে 1 লাখ 66 হাজার হয়েছে । 2000 সালে 10 হাজার কোটি টাকা বছরে মুনাফা হত । এখন বছরে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে 7900 কোটি টাকা ।

কলকাতা, 19 জুলাই : কেটে গেছে বেশ কয়েকটা সপ্তাহ ৷ এখনও অচলাবস্থা কাটেনি BSNL-এর । গত সাত মাস ধরে বেতন পাননি দপ্তরের কর্মীরা । লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে যোগাযোগ ভবনে । কবে সমস্যার সমাধান হবে জানেন না কেউ । এরই মধ্যে সামনে এল একটি তথ্য৷ চলতি বছরে ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে BSNL ৷

এক সময় BSNL-এর হাত ধরে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছিল ফোন পরিষেবা৷ কিন্তু, আজ প্রবল আর্থিক ভাবে ধুঁকছে তারাই৷ একাধিক নতুন পরিকল্পনা আনা হলেও আমজনতা মুখ ফিরিয়েছে BSNL-র দিক থেকে৷ গোটা দেশে এই বছর ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে BSNL ৷ কলকাতায় লোকসানের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা । এ প্রসঙ্গে, BSNL-এর কলকাতা টেলিফোনসের সার্কেল সেক্রেটারি শিশিরকুমার রায় বলেন, "এক সময় বলা হয়েছিল BSNL-কে স্পেকটাম চার্জ দিতে হবে না । কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হবে না । ভারতের সর্বত্র টেলিফোন পরিষেবা এবং মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার জন্য BSNL-এর লাভ হয় না সে ভাবে । সেই কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু 2000 সাল থেকে যাবতীয় আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার । তারপর থেকেই চরম সংকট শুরু হয়েছে ৷" তিনি আরও বলেন, "লোকসানের অন্যতম কারণ BSNL-কে এখনও পর্যন্ত মোবাইল পরিষেবায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না ।"

BSNL-এর এই অবস্থার জন্য শিশিরকুমার রায় জিওকেই দায়ি করেছেন ৷ সরকারও সেই বিষয়টিতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর ৷ তিনি জানান, BSNL তৈরির সময় কর্মচারী এবং অফিসারের সংখ্যা ছিল 3 লাখ 75 হাজার । এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে 1 লাখ 66 হাজার হয়েছে । 2000 সালে 10 হাজার কোটি টাকা বছরে মুনাফা হত । এখন বছরে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে 7900 কোটি টাকা ।

Intro:এখনো অচলাবস্থা কাটেনি বি এস এন এল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের। গত সাত মাস ধরে বেতন পাননি দফতরের কর্মীরা। লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে যোগাযোগ ভবনে। কবে সমস্যার সমাধান হবে জানেনা কেউ। চলতি বছরে ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে বিএসএনএল।


Body:বিএসএনএলের এই অচলাবস্থা চলবে না। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর বি এস এন এল তৈরি হয়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভারত সরকার বিএসএনএলকে আর্থিক সাহায্য করবে। ক্যাবিনেটের সেই সিদ্ধান্ত মেনে কয়েক বছর কথা রেখেছিল কেন্দ্রের সরকার। যদিও পরে সেই সাহায্য করা বন্ধ করে দেয়।
তারপর থেকেই বিএসএনএল চরম লোকসানের চলতে শুরু করে। ২০১১ সালের থেকে বি এস এন এলের শুরু হয় লোকসান।
এখনো নিয়মিত বেতন না পেয়ে বিএসএনএলের অফিসেই বিক্ষোভ দেখান চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা।
সারা ভারতে এ বছর ৭৯০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। কেবলমাত্র কলকাতায় লোকসানের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
বিএসএনএল তৈরী হওয়ার সময় যে শর্তের কথা বলেছিল ভারত সরকার, এখন সেগুলো সব বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএসএনএলের কলকাতা টেলিফোনসের সার্কেল সেক্রেটারি শিশির কুমার রায়।
শিশির কুমার রায় বলেন, "এক সময় বলা হয়েছিল বিএসএনএল কে স্পেকটাম চার্জ দিতে হবে না। কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হবে না। যেহেতু শহর-গ্রাম, পাহাড় সমুদ্র সর্বত্র টেলিফোন পরিষেবা এবং মোবাইল পরিষেবা দেয় বিএসএনএল তাই তাদের লাভের কোন প্রশ্নই নেই। সেই কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে যাবতীয় আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয় দেশের সরকার। তারপর থেকেই শুরু হয় চরম সংকট।"
ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড সংস্থা যখন শুরু হয় সেই সময় ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল চল্লিশ হাজার কোটি টাকা। বিভিন্ন অজুহাতে সেই টাকা ভারত সরকার নিয়ে নেয় বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের থেকে। বি এস এন এল এর নিজস্ব গঠিত টাকায় ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করায় সংকট তৈরি হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিএসএনএলের অন্যতম লোকসানের কারণ হচ্ছে, মোবাইল পরিষেবায় এখনো পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেওয়া হচছে না বি এস এন এল কে। ইতিমধ্যেই বিএসএনএলের গ্লোবাল টেন্ডার ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ এবং ৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার টেন্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ বি এস এন এল এর দুর্দশার অন্যতম কারণ সেটিও। গ্রাহক বাড়লেও পরিষেবা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। দিল্লী-মুম্বাইতে বিএসএনএল পরিষেবা এখনো নেই। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রুগ্ন করে দিচ্ছে বিএসএনএল কে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সারা ভারতে বিএসএনএলের খালি জমি রয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকার। হাজার হাজার একর জমি কলকাতা দিল্লী মুম্বাই তে রয়েছে যা ব্যবহার করে বালিশ দিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বছরে আয় হতে পারে এই সংস্থার।
ইতিমধ্যেই বিএসএনএলের কর্মচারী এবং অফিসারদের অবসরের সময়সীমা ৬০ থেকে ৫৮ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার ফলে ৫৪ হাজার অফিসার এবং কর্মচারীকে
চাকরি ছাড়তে হবে। ভি আর এস চালু করা হয়েছে। ৫০ বা তার ঊর্ধ্বে যারা চাকরি করছেন তাদেরকে ভি আর এস প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর ফলে প্রায় ৭৪ হাজার কর্মী অফিসার কর্মচ্যুত হবে ন। বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি তৈরি হয়েছে। লোক নিয়োগ করা হচ্ছে না।


Conclusion:২০০০ সালে যখন বিএসএনএল তৈরি হলো তখন মোট কর্মচারী এবং অফিসারের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার। এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার। ২০০০ সালে ১০ হাজার কোটি টাকা বছরে মুনাফা হত বিএসএনএলের। আর এখন বছরে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯০০ কোটি টাকা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.