কলকাতা/বসিরহাট, 16 নভেম্বর: চার কেজির বেশি রুপোর গয়না-সহ এক পাচারকারীকে পাকড়াও করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর 24 পরগনা জেলার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘটনা। ধৃত ব্যক্তি তার মোটরবাইকের ফিল্টার বক্সে করে ওই রুপোর অলংকারগুলি পাচার করছিল বলে অভিযোগ। বাজেয়াপ্ত গয়নার ওজন চার কেজি 157 গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দু'লক্ষ 47 হাজার 308 টাকা। বিএসএফ সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যক্তিকে স্বরূপনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাজেয়াপ্ত রুপো তেতুলিয়া কাস্টমস অফিসে পাঠানো হয়েছে ৷
বিএসএফ জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চৌকি হাকিমপুরের বিএসএফ রুপো চোরাচালানের পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্যই বাইকের ফিল্টার বক্সে করে ওই বিপুল রুপোর গয়না নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিএসএফ জওয়ানরা অভিযুক্তদের হাকিমপুরের চেক পোস্টে পাকড়াও করে ফেলেন। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাইকে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরেই ওই রুপোর অলংকারগুলি উদ্ধার করা হয়। ধৃত রাকেশ মণ্ডল স্বরূপদাহ থেকে হাকিমপুর উত্তর পাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন বলে খবর।
সূত্রের খবর জিজ্ঞাসাবাদে রাকেশ মণ্ডল জানিয়েছে, কোনও কাজ না-পেয়ে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে সে। গতকালই বিথারী খাপাড়ার মন্টু সরদারের কাছ থেকে এই রুপোর অলঙ্কার সংগ্রহ করে সে। তারপর পলিথিনের প্যাকেটে করে তারই বাইকের এয়ার ফিল্টার বক্সে লুকিয়ে রাখে। পরে সেগুলো হাকিমপুর উত্তরপাড়ারই হরিদাস নামে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল রাকেশের। যার বিনিময়ে 600 টাকা মন্টু সরদার তাকে দেবে বলেছিল বলেও জেরায় জানায় রাকেশ।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফ জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য জানিয়েছেন, ডিউটিতে থাকা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীদের সতর্কতার ফল এটা। তিনি জনগণকে কোনও অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না-করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, "সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে দেবে না ৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেবে না।"
আরও পড়ুন: