কলকাতা, 30 ডিসেম্বর: পাচার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করল বিএসএফ ৷ গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের 5 নম্বর ব্যাটালিয়ন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মানব পাচার বিরোধী বাহিনী ৷ অভিযোগ চাকরি দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে নিজেদের জালে ফাঁসিয়েছিল ওই মানব পাচার চক্র ৷ বিএসএফ সূত্রে খবর, ভালো ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ের পতিতালয়ে ৷
বিএসএফ জানিয়েছে, একটি এনজিও-র সাহায্যে কাউন্সেলিংয়ের পর নাবালিকাকে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৷ আপাতত পুলিশের তত্বাবধানে নাবালিকাকে রাখা হবে ৷ পুরো বিষয়টিতে পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে ৷ বিএসএফ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত 28 ডিসেম্বর রাতে বিএসএফের অভিযানে ওই নাবালিকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে ৷
এনজিও-র মহিলা কাউন্সেলর যখন মেয়েটির কাউন্সেলিং করেন, তখন জানা যায় তার বয়স 17 বছর ৷ বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা সে ৷ তার পরিবার খুব দরিদ্র এবং আর্থিক সংকটের মধ্য রয়েছে ৷ কিছুদিন আগে তার বন্ধুর স্বামী তাকে কলকাতার একটি বিউটি পার্লারে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে সীমান্তের এপারে নিয়ে আসে ৷ এর পরে তাকে মুম্বইয়ের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় ৷ কোনওভাবে 26 ডিসেম্বর সেখান থেকে পালিয়ে আসে নাবালিকা ৷ 28 ডিসেম্বর রাতে বেআইনিভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ধরা পড়ে যায় সে ৷
সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার বলেন, "সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের এএইচটিইউ টিম মানবতার নীতিকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে রক্ষা করতে গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে ৷ বিএসএফ সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, মানব পাচার নেটওয়ার্কের শিকার হওয়া মানুষজনকে বাঁচাতে, উদ্ধার অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে ৷ সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি মানব পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতামূলক প্রচারে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার একটা ফল ৷ উদ্ধার করা নাবালিকাকে এনজিওর মাধ্যমে কাউন্সেলিং ও সবরকম সাহায্য করা হয়েছে ৷ এই মামলায় এখন পুলিশি তদন্ত হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: