কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ব্যাকফুটে বাংলার সরকার ৷ এরই মধ্যে এবার ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি কমিশন (University Grants Commission) বা ইউজিসির (UGC) বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ৷ কেন্দ্রীয় এই সংস্থার বিরুদ্ধে কার্যত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি ৷
বুধবার একটি টুইট করেন ব্রাত্য ৷ তাতে তিনি লেখেন, ইউজিসি পাঁচটি আঞ্চলিক কমিটি (Five Zonal Committees) গঠন করেছে ৷ সেই কমিটিতে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও উপাচার্যরা রয়েছেন ৷ এই পাঁচটি আঞ্চলিক কমিটি দেশজুড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে ভবিষ্যতের কর্মপন্থার দিশা নির্দেশ করবে ৷ অথচ, লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই পাঁচটি কমিটির কোনওটিতেই পশ্চিমবঙ্গের 40টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনও প্রতিনিধিকে জায়গা দেওয়া হয়নি ! যদিও পূর্বাঞ্চলের জন্য আলাদা করে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি ৷ সেই কমিটির সদস্যসংখ্যা সাত ৷ কিন্তু, তাঁদের মধ্যে একজনও বাংলার নন !
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রমে ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র ! ইউজিসির নয়া খসড়ায় বিতর্কের ঝড় শিক্ষামহলে
ইউজিসি-র এমন আচরণে কার্যত নিজের বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ৷ একইসঙ্গে, নাম না-করে টেনে এনেছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রসঙ্গ ৷ ব্রাত্যর বক্তব্য, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমষ্টির যে সংগঠন রয়েছে, তার সভাপতি স্বয়ং ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ৷ ঘটনাচক্রে সেই ব্যক্তি কিছুদিন আগে পর্যন্ত পদাধিকার বলে বাংলার একাধিক বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য ছিলেন ৷ কিন্তু, তারপরও বাংলাকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে ৷
- — Bratya Basu (@basu_bratya) December 28, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
— Bratya Basu (@basu_bratya) December 28, 2022
">— Bratya Basu (@basu_bratya) December 28, 2022
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে মোদি সরকারের তথাকথিত সংস্কার নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে ৷ শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ এই বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ৷ বিভিন্ন সময় একই সুর শোনা গিয়েছে বাংলার বুদ্ধিজীবী এবং শাসকপন্থীদের গলায় ৷
অন্যদিকে, জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন অন্যান্য বিষয়ের মতো শিক্ষাক্ষেত্র নিয়েও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন ৷ এমনকী, রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে আসীন করা যায়, আইনত তার বন্দোবস্ত করতেও কসুর করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ! এই প্রেক্ষাপটে ইউজিসির আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে ৷ ঘটনাটিকে বাংলার প্রতি বঞ্চনা হিসাবেই কার্যত তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ব্রাত্যও ৷ এবার এ নিয়ে গেরুয়াশিবির সরব হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার ৷