কলকাতা, 18 মে: ফের রাজ্যপাল প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রসঙ্গে রাজ্যপালের হস্তান্তর নিয়ে বিস্ফোরক শিক্ষামন্ত্রী ৷ তিনি এদিন বলেন, "আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। আইন অনুযায়ী, শিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে, তা এড়িয়ে কোনও বরখাস্তের ঘটনাই আইনসম্মত নয়। আমি বিশেষ কিছু বলতে চাই না। পরবর্তী ক্ষেত্রে যেরকম স্বেচ্ছাচারিতা দেখব, সেরকম ব্যবস্থা নেব।"
সম্প্রতি, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ সেখানকার উপাচার্যকে বরখাস্ত করেন। তারপর সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বরখাস্ত প্রত্যাহারের নোটিশ উপাচার্যকে পাঠায় রাজ্যপাল। কিন্তু শুক্রবার রাজভবনে পালটা নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করেই উপাচার্যের বিষয়ে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন রাজ্যপাল, এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে আনার জন্য যে ফাইল রয়েছে তা এখনও পর্যন্ত রয়েছে রাজভবনে। এমনকি তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে রাজভবনে কোনও ফাইল কুড়ি সপ্তাহের বেশি থাকতে পারে না। তবুও রাজ্যপাল এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না ৷
আরও পড়ুন: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কেন সরানো হল, রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, গত 13 মার্চ থেকে আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের আন্দোলন ৷ দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যকে বরখাস্ত করার দাবিতে এই আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা ৷ পরে সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরাও ৷ পরবর্তীকালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাধন চক্রবর্তী ৷ তারপরেই রাজ্যপালের আইনজীবীর থেকে উপাচার্যকে কেন সরানো হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ রাজভবনের নির্দেশে বলা হয়েছিল, উপাচার্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না ৷ তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছ ৷