কলকাতা, 4 নভেম্বর: রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না-করে একতরফাভাবে যেসব উপাচার্যদের রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তাঁদের 'অনুপ্রবেশকারী' বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ শনিবার 'এডুকেশন সিমপোসিয়াম' নামে একটি অনুষ্ঠানে সূচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়ে ওই মন্তব্য করেন ব্রাত্য ৷
চলতি মাসের 21 ও 22 তারিখ রয়েছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। সেই সম্মেলনের আগেই শিক্ষাক্ষেত্রকে নিয়ে এদিনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলন থেকে উঠে আসা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে। তবে এদিন এই অনুষ্ঠানেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিযুক্ত একজন উপাচার্যকেও দেখা যায়নি ৷ তার বদলে উপস্থিত ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রার ও সহ-উপাচার্যরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপাচার্যের অনুপস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজ্যপাল এবং শিক্ষা দফতরের মধ্যে আলোচনা করেই উপাচার্য নিয়োগ হয়। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে রাজ্যপাল যাঁদের একতরফা ভাবে নিয়োগ করেছেন, সেই নিয়োগ বেআইনি। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন শিক্ষা দফতর করেনি। তবে যারা বৈধ অনুমোদনে উপাচার্য রয়েছেন আমরা তো তাঁকেই ডাকব। আমার মনে হয় না অনুপ্রবেশকারীদের এখানে ডাকার দরকার আছে।"
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল বিতর্ক গত কয়েকমাসে রাজ্যের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না-করেই একের পর এক উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন আচার্য, এমনই অভিযোগ করা হয়েছে সরকার তরফে ৷ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের তরফে আচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি নতুন করে আর কোনও উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না ৷ এমনকি যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না ৷
আরও পড়ুন: আর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না, সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যপালের
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের পাশাপাশি রাজ্যের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,"এর ফলে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ হবে, যা ভবিষ্যতে ইন্টার্নশিপে কাজে লাগবে।"