কলকাতা, 6 অক্টোবর: রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানাল রাজ্য সরকার ৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার বললেন, তাঁদের কথাতেই শিলমোহর দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ রাজ্যপালের দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যদের উদ্দেশে ব্রাত্য বলেছেন, "আত্মসম্মান থাকলে পদত্যাগ করুন ৷"
আজ শীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । রাজ্য সরকারের মামলা চলাকালীন তিনি আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । তার সঙ্গে বলা হয়েছে, এতদিন যে অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন, তাঁদের কেউই বেতন ও উপাচার্যের সুযোগ সুবিধা পাবেন না । সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ আসার পরেই তাকে স্বাগত জানায় রাজ্য সরকার । শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "আমাদের কথাতেই শিলমোহর দিল শীর্ষ আদালত ।"
শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে রয়েছেন শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব । সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও । সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্যপালের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি । এ দিন তিনি বলেন, "মহামান্য আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি । আমরা এতদিন ধরে যে সুবিচার চাইছিলাম, দেশের শীর্ষ আদালত তাতে শিলমোহর দিয়েছে । এই মুহূর্তে আমি যে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানকার অস্থায়ী বাসিন্দার জন্য দুঃখই হচ্ছে আমার । উনি তো আমাদের রাজ্যেরই আচার্য । তাই আচার্যের কোনও পরাজয় হলে খারাপ লাগারই কথা । কিন্তু এই পরিস্থিতি কাম্য ছিল না ৷ আমরা বারবার করে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছি, তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছি । তিনি সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য সঠিক উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন । কোনও তাঁবেদার উপাচার্য নয় ।"
আরও পড়ুন: আর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না, সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যপালের
এরই সঙ্গে রাজ্যপাল তথা আচার্য যে সমস্ত উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন, তাঁদেরকেও এ দিন নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী । তাঁদের প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, "অস্থায়ী উপাচার্যদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ আমি তাঁদেরকে অনুরোধ করব, যদি কারও আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে যেন পদত্যাগ করেন ।"
অন্যদিকে, এখনও শিক্ষামন্ত্রী আশা করছেন যে, রাজ্যপাল তথা আচার্য তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন । ব্রাত্য বলেন, "শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরে আশা করব, তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করবেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা না শোনার জন্য । আমি এখনও বিশ্বাস করি, বাইরের কারও হস্তক্ষেপের দরকার পড়বে না ।"