কলকাতা, 29 নভেম্বর: শাহী সভার জন্য বিজেপির তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে একটি গণসঙ্গীত । অমিত শাহের সভার আগে সেই গণসঙ্গীত নিয়েই এবার শুরু হয়েছে জোর আলোচনা । অতীতে বিভিন্ন সময় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বাম ও রামের জোটের কথা শোনা গিয়েছে । 29 নভেম্বরের সভা উপলক্ষ্যে তৈরি করা এই গণসঙ্গীত আরও একবার সেই রাম আর বামের জোটের কথাই তুলে ধরছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ।
2 মিনিট 42 সেকেন্ডের এই অডিয়োটিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছে । দেখা গিয়েছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রুদ্রনীল ঘোষ এবং শঙ্কুদেব পন্ডাদের মতো নেতাদের । এই নিয়ে বিজেপির নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘‘এই গানের মধ্যেই বোধহয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে 24-এর লোকসভা নির্বাচনে আমরা কোন সুর বাঁধতে চাইছি । একই সঙ্গে আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে পাঁক থেকে বের করে পদ্মের গৌরবে গৌরবান্বিত করার যে অধ্যায় রচনা করতে চাইছি ৷ সাধারণ, বঞ্চিত, গরিব মানুষের জন্য তারই একটা ছোট্ট প্রয়াস এটা ।’’
কিন্তু হঠাৎ করে গণসঙ্গীত কেন, তার কোনও জবাব রুদ্রনীলের কাছে পাওয়া যায়নি । তবে একদা বাম রাজনীতিতে থাকা রুদ্রনীল তৃণমূল ঘুরে বিজেপিতে এলেও এখনও তাঁর মধ্যে সেই বাম ভাবনা যে রয়েছে, এটাকে তারই বহিঃপ্রকাশ বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ । আবার আর একাংশ বলছে, সামনেই লোকসভা ভোট । বাম ভোট রামে টানতে অতীতেই নানা বার্তা দিয়েছে পদ্ম শিবিরের নেতারা । এবার গণসঙ্গীতকে আশ্রয় করে বামেদের একাংশকে গেরুয়া শিবিরের দিকে টানার কৌশল নিয়েছে বিজেপি ।
যদিও গণসঙ্গীত একক ভাবে বামেদের, তা মানতে রাজি নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । তিনি বলেন, ‘‘সারেগামাপাধানিসা - এই দিয়ে তৈরি সরগম । কাল মার্কস এগুলোর কোনটি তৈরি করে গিয়েছিলেন । কে বলেছে গণসঙ্গীত শুধুমাত্র বামেদের ।’’
সাধারণত বামেদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গণসঙ্গীত ৷ সেই প্রেক্ষিতে বিজেপির 29 নভেম্বরের সমাবেশে গণসঙ্গীত অবশ্যই মানানসই নয় বলছেন বাম নেতারা । তবে বামনেতা রবীন দেব বলছেন, ‘‘বাংলা থেকে বামেরা যে শেষ হয়ে যায়নি, ভোট বাক্সে তারা শূন্য হলেও তাদের ভাবনা যে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে, অন্যেরা তা অনুকরণ করছে, এই প্রয়াসে তা আরও একবার সামনে এসেছে ।’’
অন্যদিকে এই গণসঙ্গীতকে সামনে রেখে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল । এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘পয়সা থাকলে ডেকোরেটার্স দিয়ে মঞ্চ বাঁধানো যায়, হুজুক করলে দু’জনকে দিয়ে গানও লেখানো যায় । কিন্তু রাজনৈতিক তাৎপর্য, সম্মান এবং গুরুত্ব কোনোটাই বিজেপির নেই । মানুষ যা বোঝার বুঝে নিয়েছে । সময় পেলে তার জবাব তারাই দেবে ।’’
আরও পড়ুন: