কলকাতা, 14 অগস্ট: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিন বিরোধী দলের প্রধান পদপ্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে । এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিজয়ী প্রার্থীরা । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ।
জানা গিয়েছে, গত 11 অগাস্ট বিরোধী পক্ষের 12 জন জয়ী প্রার্থী বোর্ড গঠনের জন্য পৌঁছন পঞ্চায়েতে । তৃণমূলের 11 জন জয়ী প্রার্থীও ওই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় যোগ দেন ৷ বিরোধীদের তরফে আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যাক্তিকে শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ কিন্তু অভিযোগ, বোর্ডগঠনের সভার দিন পুলিশ বিনা কারণে আব্দুলকে গ্রেফতার করে, এই ঘটনায় তাজ্জব বিরোধী দলের বিজয়ী প্রার্থীরা । বাধ্য হয়ে সোমবার তাঁরা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 23 জন সদস্য । তার মধ্যে 12টি পেয়েছে অন্যান্যরা । আর তৃণমূল পেয়েছে 11টি আসন ৷ বিরোধীদের সদস্যই প্রধান হবেন সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু 11 তারিখ যখন মিটিং হয়, তখন বিরোধীদের প্রধান পদপ্রার্থী আব্দুল জব্বারকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যায় মিটিং রুম থেকে । কারণ শাসকদল জানে যে তাদের থেকে প্রধান নির্বাচিত হবে না । সেই জন্য পুলিশকে শাসক দল নিজেদের এজেন্ট হিসাবে কাজে লাগিয়েছে । এর প্রতিবাদে বাকি 11 জন সদস্য এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, গণ ইস্তফা পঞ্চায়েত সদস্যদের
বিরোধী দলের বিজয়ী সদস্যরা যাতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে থাকতে না পারেন তার জন্য তাঁদের বাড়ি ছাড়া করা, সম্পত্তি লোপাট করা থেকে শুরু করে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ কয়েক শো অভিযোগ এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে । বিচারপতি জয়সেন গুপ্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের কোথাও পুলিশি নিরাপত্তা, কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা তো বটেই তাদের পরিবারও সুরক্ষিত নয় বলে, আদালত একাধিক ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদেরও পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ৷