কলকাতা, 9 জুলাই: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই ভোটের দিন সন্ত্রাস এবং ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। একইসঙ্গে, এদিনের প্রতিবাদে অবিলম্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার পদত্যাগেরও দাবি তুলল বিজেপি ৷
এদিন বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ধরনা এবং বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন উত্তর কলকাতা জেলার বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ এবং বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বিক্ষোভ, প্রতিবাদ থেকে তারা মূলত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন ৷ বিজেপি নেতাদের দাবি, গতকাল অর্থাৎ শনিবার ভোটের দিন যেভাবে রক্তস্নাত পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে রাজ্যে এবং তারপরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাস এবং অশান্তির ছবি উঠে এসেছে, তাতে স্পষ্ট হিংসা সামলাতে পুরোপুরি ব্যর্থ এই রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সেই কারণেই অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানায় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান, সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির নেতা-নেত্রী ও কার্যকর্তাদের উপর যেভাবে গুন্ডাবাহিনী বর্বরোচিত অত্যাচার করছে তার বিরুদ্ধে বারংবার বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি সরব হবে। তার আরও অভিযোগ যে, শান্ত বাংলাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে। ভোটের দিন বা তারপরও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হিংসা মোকাবিলায় তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা ৷
আরও পড়ুন: বৈষ্ণবনগরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত তৃণমূল কর্মী, মালদায় ভোটের হিংসার বলি বেড়ে 2
এদিন বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, পানাগড়ে পর্যাপ্ত গাড়ি না-থাকার ফলে বাহিনী সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। ঠিকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি ৷ ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যাবহার না-করা আসলে কমিশনের কারসাজি বলেও অভিযোগ করে পদ্ম শিবির। এর আগে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন কমিশনের দফতরে ৷ এদিন বিজেপির তরফে জানানো হয়, বার বার বলা হয়েছিল যে এই কমিশনারকে সরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো হোক, কিন্তু তা হয়নি। তাই এহেন অশান্ত নির্বাচন হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ যে, মৃত্যু নিয়েও কারসাজি করছে কমিশন।