ETV Bharat / state

বনগাঁয় আস্থা ভোটে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য হয়েছে অভিযোগে আদালতে BJP

বনগাঁ পৌরসভায় আস্থা ভোট সংক্রান্ত যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা না কি মানা হয়নি । এই দাবি তুলে আজ হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল রাজ্য BJP ।

হাইকোর্ট
author img

By

Published : Jul 17, 2019, 2:58 PM IST

কলকাতা, 17 জুলাই : বনগাঁ পৌরসভায় আস্থা ভোট করা নিয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা না কি ঠিকঠাক মানা হয়নি । এ নিয়ে আজ হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল রাজ্য BJP নেতৃত্ব । বিষয়টি নিয়ে BJP-র বক্তব্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।

বনগাঁ পৌরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা 22 । তাদের মধ্যে 20 জন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে । বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলরের সংখ্যা 2 । 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে 6 জুন অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন । তিনদিন পর আরও 3 জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরোধিতা করেন । ওই 14 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 12 জন পরে দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দেন ।

এই সংক্রান্ত খবর : বনগাঁর আস্থা জিতেছে কে ? BJP-তৃণমূল উভয়ই বলছে আমরা

তবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেও রাজ্য প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ । বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করেন 3 জন কাউন্সিলর । হাইকোর্ট 11 জুলাই নির্দেশ দেয় 72 ঘণ্টার মধ্যে আস্থা ভোট প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে । তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় 16 জুলাই অনাস্থা ভোট হবে ।

এই সংক্রান্ত খবর : কাল বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট, জারি 144 ধারা

গতকাল আস্থা ভোটে পুলিশের সঙ্গে BJP কর্মীদের বচসা হয় । রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পৌরসভা চত্বর । বোমাবাজি হয় । BJP-র অভিযোগ, তাদের দুই কাউন্সিলরকে আস্থা ভোটে অংশ নিতে বাধা দেয় পুলিশ । আস্থা ভোটে কী ফল হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে । তৃণমূল এবং BJP দুই দলই দাবি করেছে তারা জিতেছে ।

আস্থা ভোটে হাইকোর্টের নির্দেশ ঠিকমতো মানা হয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ আদালতের দ্বারস্থ হয় BJP । বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ শুনে BJP-র আইনজীবীকে বলেন, "আমি কী করব ? এটা দেখা পুলিশের কাজ ।" এরপর বিচারপতি বলেন, "ঠিক আছে, আবেদন ফাইল করে আসুন । তারপর শুনব ।"

কলকাতা, 17 জুলাই : বনগাঁ পৌরসভায় আস্থা ভোট করা নিয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা না কি ঠিকঠাক মানা হয়নি । এ নিয়ে আজ হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল রাজ্য BJP নেতৃত্ব । বিষয়টি নিয়ে BJP-র বক্তব্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।

বনগাঁ পৌরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা 22 । তাদের মধ্যে 20 জন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে । বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলরের সংখ্যা 2 । 11 জন তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে 6 জুন অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন । তিনদিন পর আরও 3 জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরোধিতা করেন । ওই 14 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 12 জন পরে দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দেন ।

এই সংক্রান্ত খবর : বনগাঁর আস্থা জিতেছে কে ? BJP-তৃণমূল উভয়ই বলছে আমরা

তবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেও রাজ্য প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ । বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করেন 3 জন কাউন্সিলর । হাইকোর্ট 11 জুলাই নির্দেশ দেয় 72 ঘণ্টার মধ্যে আস্থা ভোট প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে । তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় 16 জুলাই অনাস্থা ভোট হবে ।

এই সংক্রান্ত খবর : কাল বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট, জারি 144 ধারা

গতকাল আস্থা ভোটে পুলিশের সঙ্গে BJP কর্মীদের বচসা হয় । রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পৌরসভা চত্বর । বোমাবাজি হয় । BJP-র অভিযোগ, তাদের দুই কাউন্সিলরকে আস্থা ভোটে অংশ নিতে বাধা দেয় পুলিশ । আস্থা ভোটে কী ফল হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে । তৃণমূল এবং BJP দুই দলই দাবি করেছে তারা জিতেছে ।

আস্থা ভোটে হাইকোর্টের নির্দেশ ঠিকমতো মানা হয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ আদালতের দ্বারস্থ হয় BJP । বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ শুনে BJP-র আইনজীবীকে বলেন, "আমি কী করব ? এটা দেখা পুলিশের কাজ ।" এরপর বিচারপতি বলেন, "ঠিক আছে, আবেদন ফাইল করে আসুন । তারপর শুনব ।"

Intro:বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়রর অপসারণ সংক্রান্ত মামলা Body:
মানস নস্কর---

মেয়রের অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়ে চেয়ারম্যানের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ, বিধাননগর মেয়রের অনাস্থা সংক্রান্ত মামলায় চেয়ারম্যানকে যুক্ত করার নির্দেশ

কলকাতা ১৫ জুলাইঃ
মেয়রের অপসারণ সংক্রান্ত ব্যাপারে চেয়ারম্যান অন্যতম ভুমিকা পালন করেন।কিন্ত বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মামলায় চেয়ারম্যানকে কোনো পার্টি করা হয়নি।সেই জন্য আজ দীর্ঘক্ষন শুনানির পর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন এই মামলায় চেয়ারম্যানকে পার্টি করে তাকে নোটিশ দিতে। বিধাননগরের মেয়রের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারে আগামীকাল সকালে তিনি তার বক্তব্য জানাবেন কোর্টকে।

আজ মামলার শুনানিতে সব্যসাচী দত্তর পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, "কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিঠি দিতে।পুরো ব্যাপারটা আমি একজন কাউন্সিলর, আমাকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে। কারণ আমি মেয়র হিসাবে বিধাননগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে যে বেয়াইনি নির্মান চলছে,অবাধে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সহায়তা চেয়েছিলাম।কিন্ত করা হয়নি। আমি অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যাওয়ার ব্যাপারে একেবারেই ভাবিত নই।কিন্ত আমাকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেটা ঠিকঠাক আইন মেনে কি হয়েছে? "এর বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন, " ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল আইন ২০০৬ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অধিকার রয়েছে কোনো একজনকে মেয়র হিসাবে বেছে নেওয়ার।মেয়রের পদটা পুরোপুরি অন্যদের উপর নির্ভরশীল। তার বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিঠি পাঠানো হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ আইন মোতাবেকই করা হয়েছে। "
পাশাপাশি বিধাননগর পৌরনিগমের পক্ষে আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার বলেন, "ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন আইন অনুয়ায়ী চেয়ারম্যান মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। কিন্ত এই মামলায় তাকে পার্টিই করা হয় নি। পাশাপাশি কমিশনার চিঠি না দিয়ে জয়েন্ট কমিশনার কেন চিঠি দিলেন সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কমিশনার অসুস্থ থাকার জন্যই জয়েন্ট কমিশনার চিঠিটি ইস্যু করেছেন। "এরপরই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিধাননগর পৌরনিগমের বর্তমান চেয়ারম্যানকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন।

শুনানির শেষে মামলাকারী সব্যসাচী দত্তর পক্ষের আর এক আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানালেন," আইন অনুয়ায়ী মোট কাউন্সিলের ১/৩ শতাংশের সমর্থনেই মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যায়। কিন্ত এখানে কতজন কাউন্সিলর এই প্রস্তাবে সই করেছেন।বা করলেও সেটা আদৌও আইনমাফিক করা হয়েছে কিনা, এটাই আমাদের বক্তব্য। চেয়ারম্যান কে পার্টি করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল কোর্ট চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনবে।"

প্রসঙ্গত মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে ১৮ জুলাই বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন বিধাননগর পৌরনিগমের কমিশনার। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বর্তমান মেয়র সব্যসাচী দত্তের দায়ের করা মামলার শুনানি চলছে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.