কলকাতা, 6 মার্চ: বিধানসভাতেই কোলাকুলি । যেন মেলায় ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া ভাইকে আবার ফিরে পেলেন । হঠাৎ করে এসব কী বলছি বুঝতে পারছেন না তো । দাঁড়ান একটু খোলসা করেই বলা যাক । জেল থেকে বেরোনোর পর বর্ধিত বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন বিধানসভায় এলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (ISF leader Nawsad Siddique) । আর নওশাদকে দেখেই কোলাকুলিতে উদ্যোগী হলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার (BJP MLA Asim Sarkar)।
বিধায়কদের কোলাকুলি: প্রসঙ্গত, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় গণ্ডগোলের কারণে গ্রেফতার হওয়ার পর গত বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি নওশাদ সিদ্দিকী । তবে এদিন বর্ধিত বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনেই আগেভাগেই বিধানসভায় এসে উপস্থিত হন তিনি । এদিন বিধানসভায় শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন বিধায়কেরা তার খোঁজখবর নেন । তিনি এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন । কিন্তু এসবের মাঝে বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের কোলাকুলি ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় । নাগরিকত্ব প্রশ্নে যে বিজেপি একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে বাইরে রেখে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে, সেই দলের বিধায়কের এ হেন আচরণ খুব স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকদের চোখে পড়ে ।
কোলাকুলিতে অন্যায় কিছু নেই: তবে বিধায়ক অসীম সরকার এতে অন্যায় কিছু দেখছেন না । তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "বিধানসভার ভেতরে আদর্শ নীতি রাজনীতি, আলাদা থাকলেও আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলি । তাই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতির অবস্থান হলেও সহ বিধায়কের সঙ্গে কোলাকুলিতে আপত্তির কী আছে । সবচেয়ে বড় কথা তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে, তা যে অন্যায় হয়েছিল সে কথা আগেই আমরা বলেছি ।"
অন্যায়ের সঙ্গে আপোশ করবেন না নওশাদ: এদিকে নওশাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, অতীতেও তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপোশ করেননি । আগামিতেও তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপোশ করবেন না । তাঁর লড়াই থামবে না । আর যাই হোক এভাবে জেলবন্দি করে তাঁর কন্ঠরোধ করা যাবে না । এদিন তিনি বলেন, "আমি বিধানসভায় নতুন । তাই শুরুর দিন থেকেই বিধানসভার অধিবেশনকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছি । তাই প্রত্যেক অধিবেশন থেকেই আমি কিছু না কিছু শিখেছি । কিন্তু বাজেট অধিবেশনে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি । জেলবন্দি থাকার জন্য আসতেও পারিনি । আজ থেকে বর্ধিত বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে । বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমার লড়াই চলবে ।"
আরও পড়ুন: মমতাকে সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী আখ্যা দিয়ে মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর