কলকাতা, 17 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-মৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাল বঙ্গ বিজেপির বিধায়করা। সেই বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও করেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পালটা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন ৷ এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতার কোনও কথা বলার অধিকার নেই বলেও সমালোচনা করেন কুণাল ঘোষ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুণাল ঘোষ বলেন, "ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়ে একটা বাচ্চা ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী সস্তার রাজনৈতিক প্রলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারীর কোনও নৈতিক অধিকার নেই এই বিষয়ে কথা বলার। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি এমন একটি দল যাদের জন্যই সারা ভারতবর্ষে ব়্যাগিং এত বেড়ে চলেছে। 2021 সালের হিসাব বলছে ইউজিসি'র তালিকায় অ্যান্টি ব়্যাগিং সেলের যে রিপোর্ট তাতে 511টি র্যাগিং এর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। যার অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের। যার শীর্ষে রয়েছে উত্তর প্রদেশ আর মধ্যপ্রদেশ। যে রাজ্যগুলি বিজেপি শাসিত। ফলে বিজেপির কোনও নেতা তো বটেই, শুভেন্দু অধিকারীর অধিকার আছে এই নিয়ে কথা বলার!"
শুধু বিজেপিকে নয়, এদিন বামেদেরও আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় বামেদের এ থেকে জেড, অ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত বিভিন্ন শাখা সব একজোট হয়ে যাচ্ছে। কারা ব়্যাগিং করেছে, কারা ধামাচাপা দিচ্ছে, কারা নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে, কারা দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে ঢুকতে দিচ্ছে না। কারা সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে দিচ্ছে না তাই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবার সেই সঙ্গেই বিজেপি চলে আসছে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াতে। এই সস্তার রাজনীতিগুলো বন্ধ হোক। বামেদের না না শাখার কীর্তিকলাপে একটা ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আর দেশের মধ্যে ব়্যাগিংয়ের শীর্ষে রয়েছে বিজেপি।"
আরও পড়ুন: বিধানসভায় হাজির ইডি ! মেজাজ হারালেন অধ্যক্ষ
অন্যদিকে, তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে কুণালের আরও বক্তব্য, "যাদবপুরে এখন ন্যায়বিচারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলছে, শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি বসানোর চেষ্টা চলছে। সেগুলো হতে দিন আর এই সস্তার রাজনীতি শুভেন্দুরা বন্ধ করুন।"