কলকাতা, 18 জুলাই: বাংলায় দোস্তি, কেরলে কুস্তি ! 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরুদ্ধে একাধিকবার এই তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রধানমন্ত্রীর সেই তত্ত্বকে কিছুটা বদলে বেঙ্গালুরুর বিরোধী-বৈঠককে মঙ্গলবার খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি !’’
দু’বছর আগে মোদির নিশানায় শুধু কংগ্রেস ও সিপিএম থাকলেও শুভেন্দু এক ঢিলে তিন রাজনৈতিক দল - সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন ৷ বার্তা দিয়েছেন সিপিএম ও কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের ৷ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে বাংলায় যখন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত সিপিএম ও কংগ্রেসের কর্মীরা, সেই সময় মমতা-অভিষেকদের সঙ্গে একমঞ্চে বসে আলাপ-আলোচনা-খাওয়াদাওয়ায় ব্যস্ত কংগ্রেস ও সিপিএমের জাতীয়স্তরের নেতারা ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আপত্তি থাকা কংগ্রেস-সিপিএম কর্মীদের বিজেপিতে আহ্বান শুভেন্দুর
এ দিন সকাল 7টা 58 মিনিটে একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা ৷ সেই টুইটে দু’টি ভিডিয়ো রয়েছে ৷ একটিতে সোমবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ আর দ্বিতীয় ভিডিয়োটিতে রয়েছে একটি খবর ৷ যেখানে পঞ্চায়েতে হিংসার খবর দেখানো হচ্ছে ৷ তৃণমূলের আক্রমণে একজন কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ মারা গিয়েছেন বলে দেখানো হচ্ছে ৷
এই নিয়ে টুইটে বিরোধী দলনেতা কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই ? কী রাজনীতি রে ভাই !’’
তাই বিরোধীদের এই জোটকে সুবিধাবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বাংলার শাসক দলের অত্যাচার প্রতিহত করার জন্য জীবন দেওয়া কর্মীদের মৃতদেহ উপেক্ষা করে সুবিধাবাদী জোট । আহত অনেক কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তাঁদের শান্ত করার জন্য এই নেতারা কী কারণ দেখাবেন ?’’ তাই টুইটের শেষে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীদের জন্য করুণা হয় । তাঁদের নেতারা তাঁদের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছে ৷’’
আরও পড়ুন: মঙ্গলে বিরোধীদের মেগা বৈঠক, বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় দিনে কী বার্তা মমতার ?
সোমবারও বিরোধী দলনেতা এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন ৷ তাঁর বক্তব্য ছিল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের উচিত বিজেপির ছাতার তলায় চলে আসা ৷ অথবা তৃণমূল বিরোধী আলাদা মঞ্চ গড়ে লড়াই করা উচিত ৷