ETV Bharat / state

BJP and TMC Fight in KMC: বিজেপি-তৃণমূল কাউন্সিলরদের বচসা, কলকাতা কর্পোরেশনে হাতাহাতি - কলকাতা কর্পোরেশনে

বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাবে। বাইরে থেকে নেতা নিয়ে এসে কলকাতা পৌরনিগমে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না ৷ তৃণমূলের আপত্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷

Etv Bharat
হাতাহাতি কলকাতা কর্পোরেশনে
author img

By

Published : Aug 19, 2023, 3:02 PM IST

Updated : Aug 19, 2023, 4:46 PM IST

হাতাহাতি কলকাতা কর্পোরেশনে

কলকাতা, 19 অগস্ট: বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাবে। বাইরে থেকে নেতা নিয়ে এসে কলকাতা পৌরনিগমে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না ৷ তৃণমূলের আপত্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান পৌরনিগমের তৃণমূল মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ৷ এরপরই বিজেপি-তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয় ৷ যা হাতাহাতিতে পর্যন্ত গড়ায় বলে অভিযোগ ৷ যার জেরে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাব। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, সজল ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কাউন্সিলরদের মারধর করে ৷ যার জেরে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে ৷ পাশাপাশি বিজেপির তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলরদের সহযোগীরা বিজেপির উপর আক্রমণ করার ফলেই এই পরিস্থিতি হয় ৷

বিজেপি কর্মীর বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেছে কলকাতা কর্পোরেশন। এদিন সেই অভিযোগ তুলে কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় বিজেপির তরফে। অভিযোগ, সেই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন আচমকা তৃণমূল কাউন্সিলর চিফ উইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নেতৃত্বে অসীম বসু, মহেশ শর্মা, কাজরী বন্দ্যোপাধযায়, সাধনা বসু-সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর এসে আপত্তি জানান। সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করতেও বলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কাউন্সিলর ক্লাবে বিজেপি কাউন্সিলররা কিছু বললে আপত্তি নেই। কিন্তু নেতা কর্মীরা কেন থাকবে? এটা বিজেপির পার্টি অফিস নয়। তৃণমূলের তরফে বাধা দিতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মিনাদেবি পুরোহিত, বিজয় অঝরের সঙ্গে বচসা ক্রমে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতিও।

আরও পড়ুন: ভেঙে ফেলা হল কালিম্পং পৌরসভার অবৈধ নির্মাণ

তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, সজল ঘোষের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কাউন্সিলরদের গায়ে হাত দিয়েছে। পালটা বিজেপি কাউন্সিলররা জানান, তাদের গায়ে তৃণমূলের কর্মীরা হাত দিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ চলে এই ঝামেলা। তৃণমূল কাউন্সিলর সাধনা বসু দাবি করেন, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, মিনাদেবী পুরোহিত বলেন, "আমার গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে।" প্রায় বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাহিনী এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পরবর্তী সময় মেয়রের সঙ্গেও দুই পক্ষ দেখা করে। এদিন মালা রায় জানান, কাউন্সিলরদের সতর্ক করা হবে। পাশাপাশি ঘটনায় আইন মাফিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

হাতাহাতি কলকাতা কর্পোরেশনে

কলকাতা, 19 অগস্ট: বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাবে। বাইরে থেকে নেতা নিয়ে এসে কলকাতা পৌরনিগমে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না ৷ তৃণমূলের আপত্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান পৌরনিগমের তৃণমূল মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ৷ এরপরই বিজেপি-তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয় ৷ যা হাতাহাতিতে পর্যন্ত গড়ায় বলে অভিযোগ ৷ যার জেরে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাব। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, সজল ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কাউন্সিলরদের মারধর করে ৷ যার জেরে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে ৷ পাশাপাশি বিজেপির তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলরদের সহযোগীরা বিজেপির উপর আক্রমণ করার ফলেই এই পরিস্থিতি হয় ৷

বিজেপি কর্মীর বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেছে কলকাতা কর্পোরেশন। এদিন সেই অভিযোগ তুলে কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় বিজেপির তরফে। অভিযোগ, সেই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন আচমকা তৃণমূল কাউন্সিলর চিফ উইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নেতৃত্বে অসীম বসু, মহেশ শর্মা, কাজরী বন্দ্যোপাধযায়, সাধনা বসু-সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর এসে আপত্তি জানান। সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করতেও বলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কাউন্সিলর ক্লাবে বিজেপি কাউন্সিলররা কিছু বললে আপত্তি নেই। কিন্তু নেতা কর্মীরা কেন থাকবে? এটা বিজেপির পার্টি অফিস নয়। তৃণমূলের তরফে বাধা দিতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মিনাদেবি পুরোহিত, বিজয় অঝরের সঙ্গে বচসা ক্রমে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতিও।

আরও পড়ুন: ভেঙে ফেলা হল কালিম্পং পৌরসভার অবৈধ নির্মাণ

তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, সজল ঘোষের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কাউন্সিলরদের গায়ে হাত দিয়েছে। পালটা বিজেপি কাউন্সিলররা জানান, তাদের গায়ে তৃণমূলের কর্মীরা হাত দিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ চলে এই ঝামেলা। তৃণমূল কাউন্সিলর সাধনা বসু দাবি করেন, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, মিনাদেবী পুরোহিত বলেন, "আমার গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে।" প্রায় বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাহিনী এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পরবর্তী সময় মেয়রের সঙ্গেও দুই পক্ষ দেখা করে। এদিন মালা রায় জানান, কাউন্সিলরদের সতর্ক করা হবে। পাশাপাশি ঘটনায় আইন মাফিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

Last Updated : Aug 19, 2023, 4:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.