কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: মহার্ঘভাতা বা ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মচারীদের বলেছিলেন, "বেশি ঘেউ ঘেউ করবেন না।" সেই কথার রেশ টেনে বুধবার সিপিএম নেতা (CPIM Leader) তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) সরকারি কর্মচারীদের পরামর্শ দিয়ে বললেন, "শুধু ঘেউ ঘেউ করলে হবে না, ডিএ পেতে কামড়েও দিতে জানতে হবে। তবেই মুখ্যমন্ত্রী মিন মিন করে এক দু'দিনের মধ্যে ডিএ-র (Dearness Allowance Issue) ব্যবস্থা করে দেবেন।"
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা, হয়রানি মূলক বদলি, শূন্য পদে নিয়োগের মত পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী সমিতি ধর্মতলার রানি রাসমণি মোড়ে বিক্ষোভ অবস্থান করে। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথম থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদলকে লাগাতার নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেন।
বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিকাশবাবু বলেন, "ডিএ-সহ সরকারি কর্মচারীদের আইন মাফিক সুযোগ-সুবিধা পেতে গেলে দীর্ঘ সংগ্রামে যেতে হবে। শুধু একদিনের কর্মবিরতি কিংবা অবস্থান বিক্ষোভ করলে হবে না। সংঘর্ষে যেতে হবে। বলতে হবে হয় ডিএ দাও, না হলে কাজ করব না। আর আপনি যদি বলেন, একদিনের কর্মবিরতি করে, বিক্ষোভ করে বেতন কাটা যাবে, সেটুকু করা যাবে না তাহলে আরও মারাত্মক ভুল করবেন।"
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ায় ক্ষোভ কর্মচারী ইউনিয়নগুলোর
তিনি আরও বলেন "এর কারণ একদিনের বেতন গেলেও ডিএ পেলে অনেকটাই সুবিধা হবে। ডিএ-র সঙ্গেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো একাধিক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। তাই, লড়াই ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই।" অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে সরকার ঘুরপথে কর্মচারীদের বিপদে ফেলছেন বলেও মন্তব্য করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। ঠিক তেমনই ডিএ-র কথা উঠলেই মুখ্যমন্ত্রী বলছেন টাকা নেই। এ প্রসঙ্গে বিকাশবাবু আরও বলেন, "প্রতিদিন খবরের কাগজে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। একটা মাস মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দিক। শুধু ডিএ কেন? একাধিক দেনার দায় রাজ্য সরকারের (State Government) মিটে যাবে।"