কলকাতা, 18 ডিসেম্বর : কংগ্রেসের সেই পুরোনো ট্র্যাডিশন আজও বজায় রইল । প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এরাজ্যের পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদের সামনেই ধুন্ধুমার বাধল বিধান ভবনে । সোমেন পন্থী এবং অধীর পন্থী দুটি দলের মধ্যে হাতাহাতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল । পরিস্থিতি এতটাই অপ্রীতিকর হয়ে উঠল যে বিধায়করা বিধান ভবন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ।
বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন জিতিন প্রসাদ । বিধান ভবনের তিনতলায় যখন বৈঠক চলছে, ঠিক সেই সময়ই অধীর পন্থী সুমন পালের দলের ছেলেদের সঙ্গে চূড়ান্ত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্রের অনুগামীরা ।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই বৈঠকের মাঝখানে বিধান ভবনের পোস্টার ছিঁড়ে দেয় সোমেন পন্থী গ্রুপের সদস্যরা এমনটাই অভিযোগ করেছেন সুমন পাল । বৈঠক চলাকালীন ‘‘সোমেন মিত্র জিন্দাবাদ’’ বলে চিৎকার করতে থাকেন রোহনের অনুগামীরা । কংগ্রেসের বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা এবং নেপাল মাহাতো পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিধান ভবন থেকে বেরিয়ে যান । পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধান ভবনের কর্মীরা নিচে নেমে এসে দুই দলের সদস্যদের সামাল দিতে থাকেন ।
বিধায়ক নেপাল মাহাতো জানান, বৈঠক চলাকালীন বিধান ভবনের বাইরে জড়ো হচ্ছিল রোহন মিত্রের দলের ছেলেরা । তখনই আঁচ করা গিয়েছিল পরিস্থিতি ঘোরতর হতে পারে । ঠিক তাই হলো বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে । প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরি আজকের বৈঠকে ছিলেন না । আজ মূলত জেলা সভাপতি এবং জেলার কার্যনির্বাহী সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন জিতিন প্রসাদ । বৈঠক অসম্পূর্ণ রেখেই বেরিয়ে গেলেন তিনি ।
আরও পড়ুন :- "বাবা বেঁচে থাকলে তাঁর নামও উল্লেখ থাকত সুদীপ্তর চিঠিতে", বললেন সোমেনপুত্র
অতীতে এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে । কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হতে হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও । তাঁর পরনের ধুতি খুলে দিয়েছিলেন সেই সময় বিশু দাসের লোকেরা । টিকিট না পেয়ে বিধান ভবনের কাচের জানালা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল সেদিন । সেই পুনরাবৃত্তি আজও হল ।