কলকাতা, 14 অক্টোবর: স্কলারশিপ পাওয়া আদিবাসী পড়ুয়ার সংখ্যা নিম্নমুখী ৷ পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের দেওয়া সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী, বিগত 3 বছরে মাধ্যমিক-পরবর্তী স্কলারশিপ পাওয়া আদিবাসী পড়ুয়াদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে ৷ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে এই স্কলারপশিপ দিয়ে থাকে (Tribal students receiving post-matriculation scholarships) ৷
রাজ্য আদিবাসী দফতরের (West Bengal tribal development department) কাছে 2021 সালের 31 মার্চ পর্যন্ত হিসেব আছে ৷ আর এ বছরের 31 মার্চ পর্যন্ত তথ্য জোগাড়ের কাজ চলছে ৷ আশা করা যায়, ডিসেম্বরে সেই তালিকা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ৷
দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, 2017-18 অর্থবর্ষে মাধ্যমিক-পরবর্তী স্কলারশিপ পাওয়া আদিবাসী পড়ুয়াদের সংখ্যা 79 হাজার 30 জন ৷ 2020-21 অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাই 62 হারে কমে হয়েছে 30 হাজার 50 জন ৷
নিয়ম অনুযায়ী, যে আদিবাসী পরিবারের বার্ষিক আয় 2 লক্ষ 40 হাজার টাকা বা তার থেকে কম তাদের সন্তানরা উচ্চস্তরের পড়াশোনার জন্য এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকে ৷ রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলু চিক বারাইক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ৷ এই স্কলারশিপে আদিবাসী পড়ুয়াদের সংখ্যা কেন এত কমল, সেই তথ্য জানতে কোনও নির্দেশ আসেনি ৷
আরও পড়ুন: কলকাতা অভিমুখে হাওড়া ব্রিজের বুকে দীপ্ত কণ্ঠে আদিবাসী মিছিল
যদিও এই দফতরের এক উচ্চ আধিকারিক জানান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির থেকে বেসরকারি তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, বিগত তিন বছরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা মাধ্যমিক-পরবর্তী স্কলারশিপ পাওয়ার থেকে জীবনধারণে কাজের খোঁজে ঘুরছে । অনেকেই কাজে ঢুকে পড়েছে ৷ তবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকারের সমাজকর্মী এবং প্রাক্তন লোকসভার প্রাক্তন সিপিএম সদস্য পুলীন বিহারি বাস্কের মনে হয়, এই নির্দিষ্ট স্কলারশিপে আদিবাসী পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে ৷ তিনি বলেন, "প্রথমত, এই স্কলারশিপের টাকা সময়মতো দেওয়া হয় না ৷ অনেক সময় 6 মাস পর্যন্ত দেরি হয় ৷ দ্বিতীয়ত, আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট হস্টেলগুলির বেশির ভাগই এখন বন্ধ ৷ আর যেগুলি খোলা আছে, তাদেরও অবস্থা খুবই খারাপ ৷"