কলকাতা, 28 অক্টোবর: আপাতত রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি আগে থেকেই টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাঁর হাইপারটেনশনের সমস্যাও রয়েছে ৷ পাশাপাশি আছে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও ৷ তাই নেফ্রলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে ৷ জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য 4 বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ড তৈরি করেছে হাসপাতাল ৷ এই বোর্ডে রয়েছেন ইন্টারনাল মেডিসিনের চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আফতাব খান, নিউরোলজিস্ট সদানন্দ দে-সহ এক নেফ্রলজিস্ট ৷
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রাতে ভালো ঘুম হয়েছে বনমন্ত্রীর । তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব কাটেনি। কেটে গিয়েছে বমি বমি ভাব। যেহেতু তিনি ডায়াবেটিসএবং হাইপারটেনশনের রোগী তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে শনিবার সকাল 11টা নাগাদ বৈঠকে বসেছেন এই বোর্ডের সদস্যরা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই চিকিৎসার পরের ধাপ ঠিক হবে ৷ এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তাঁকে হাসপাতালে রাখা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শরীর ভালো থাকলে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের তরফে বনমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট ইডিকে দেওয়া হবে ।
রেশন দুর্নীতির অভিযুক্ত হয়ে বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। এরপর শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী ৷ আরও পরে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ রাজ্যের বনমন্ত্রীকে আনা হয় বাইপাসের ধারে এই বেসরকারি হাসপাতালে। সে সময় তাঁর মাথা ঘুরছিল। বমি ভাবও ছিল। আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন মন্ত্রী ৷ বাঁ হাতে ব্যাথাও ছিল ৷ এই অবস্থায় ইন্টারনাল মেডিসিন, নিউরোলজি এবং কার্ডিয়লজি বিভাগের তিন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়। ইন্টারনাল মেডিসিনের চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউরোলজিস্ট সদানন্দ দে ও কার্ডিয়লজিস্ট আফতাব খান এই তিন চিকিৎসক শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৷ পরে নেফ্রলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র মামলা 'বিশেষ কেস', নির্দেশ বদল বিচারকের; অসুস্থ মন্ত্রীকে ভরতি করানো হল হাসপাতালে
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি ৷ সিসিইউ-এর বেড নাম্বার 142 রাখা হয়েছে তাঁকে । চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সিটি স্ক্যান, এমআর আই, এছাড়াও কয়েকটি ব্লাড টেস্ট করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র । এরই সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের কর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরাও থাকছেন হাসপাতাল চত্বরে।