কলকাতা, 27 এপ্রিল : বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টিতে মন ভরানোর আশ্বাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । জ্বালা ধরানো গরমে অতিষ্ঠ দক্ষিণবঙ্গ যখন চাতক পাখির মতো এক পশলা বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে, তখন হাওয়া অফিস অপেক্ষার কথা বলছে (Waiting for rain with the heat in far flung South Bengal) । কেন এই অপেক্ষা ? কেন এই কালবৈশাখীহীন গ্রীষ্ম ? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাতাসে উপস্থিত জলীয় বাষ্প, ওড়িশা এবং উত্তরবঙ্গ থেকে উত্তর ভারত পর্যন্ত মেঘের ঘনঘটায় আটকে গিয়েছে বাংলা । কার্যত তাপের ফাঁদে পড়ে গিয়েছে এই রাজ্য ।
একটু ব্যাখ্যা করলে বলা যায়, উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসছে শুকনো গরম বাতাস । উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত জলীয় বাষ্পের দেওয়াল তৈরি হয়েছে । একই অবস্থা ওড়িশার দিকেও । ফলে শুকনো এবং গরম বাতাস প্রবেশ করলেও তা আর বেরোতে পারছে না । ফলে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলায় তপ্তকুণ্ডের সৃষ্টি হয়ে আছে । তারই রেশ হিসেবে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ৷ মঙ্গলবারও তাপপ্রবাহ বজায় থাকল এই জায়গাগুলিতে - পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল (43.3), পানাগড়(43.5), বর্ধমান শহর (42.4), বীরভূমের শ্রীনিকেতন (41.9),পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা (42.1), মেদিনীপুর শহর (41.5), ঝাড়গ্রাম (42.5), বাঁকুড়া (43.7), মুর্শিদাবাদের বহরমপুর (41.4), হুগলির মগরা (41.5), পুরুলিয়ায় (42.8) ৷ এই সবকটি জায়গাতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে চার ডিগ্রির বেশি ছিল ।
আরও পড়ুন : Demand for Early Summer Vacation : তীব্র গরমে নাজেহাল পড়ুয়ারা চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছুটির দিকে
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের উপ অধিকর্তা সঞ্জীব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গত 48 ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা, কলকাতা বাদ দিয়ে সব জায়গাতেই তাপপ্রবাহ চলবে । পশ্চিমের জেলাগুলোর ক্ষেত্রে এই তাপপ্রবাহ বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে আগামী দু'দিন এই অবস্থা জারি থাকবে ।"
তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস 2 মে-র পর আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে আগামী দু-একদিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলার ক্ষেত্রে আরও দু'দিন অর্থাৎ 27 ও 28 এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হবে । তবে মালদা এবং দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই । তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির অপেক্ষা এখনও ক'দিন বাড়ল তা বলাই যায় ৷
আরও পড়ুন : Ballavpur Deer Park : তীব্র দাবদাহে হরিণদের রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা বল্লভপুর অভয়ারণ্যে