কলকাতা, 5 অক্টোবর: পুজোর পর স্কুল খোলার (Schools Re-opening) প্রস্তুতির দিকে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য । করোনাকালে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি । টানা প্রায় দেড় বছরের উপর বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি । তাই সেগুলির মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হল । আজ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর ।
প্রায় 109,42,37,133 টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর (Bengal finance department)। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল । এই টাকা বিভিন্ন স্কুল মেরামতের কাজে ব্যবহার করা হবে । স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে 6,468টি স্কুলবাড়ি মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় আমফান তারপর যশ ও বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সমস্ত স্কুলেরই । কোথাও কম । কোথাও বেশি । শহরের স্কুলগুলি তেমন ক্ষয়ক্ষতি না-হলেও জেলার বহু স্কুলের কোথাও ছাদ খসে পড়েছে ৷ আবার কোথাও দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে । জানা গিয়েছে যে, শিক্ষা দফতর কালীপুজোর মধ্যেই স্কুলগুলিকে উপযোগী করে তোলার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: Lakhimpur Kheri violence : মমতার বার্তা নিয়ে লখিমপুরে তৃণমূলের সাংসদ দল
এই বিষয়ে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "পরিকাঠামো নির্মাণের অর্থ দফতরের বরাদ্দকৃত টাকা দ্রুত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার অনুকূলে না-পাঠালে পুজোর ছুটির পর পঠন পাঠন শুরু করা অসম্ভব হয়ে পড়বে ।"
আরও পড়ুন: Calcutta High Court : রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
মাধ্যমিক শিক্ষা ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, "রাজ্যে সরকারি স্কুল, সরকার অনুমোদিত ও সরকার দ্বারা চালিত স্কুলগুলি মিলিয়ে রয়েছে প্রায় 12 হাজারের কাছাকাছি স্কুল । এর মধ্যে টাকা পাবে শুধু 6 হাজারের কিছু বেশি স্কুল । তাহলে যে স্কুলগুলি অর্থ পেল না তারা বঞ্চিত হল । জেলার স্কুলবাড়িগুলির খুবই খারাপ অবস্থা । নোটিফিকেশনে কোথাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করা নেই যে, কেন বাকি স্কুলগুলি অনুদান পাওয়া থেকে বাদ পড়ল ? অন্যদিকে দাবিপত্র করার বদলে স্কুলগুলিকে যদি সরাসরি অর্থ তুলে দেওয়া হত, তাহলে অনেক দ্রুত এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ শেষ করে স্কুলকে প্রস্তুত করা যেত ।"
আরও পড়ুন: Visva-Bharati University : ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বিশ্বভারতীতে বাতিল শিক্ষা সমিতির বৈঠক
অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের আধার কার্ড তৈরির কাজ । এছাড়াও পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, গবেষক ও কলেজের বাকি কর্মীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ।
আরও পড়ুন: Bengal Industry: রাজ্যের শিল্প করিডরে ₹43,000 কোটি বিনিয়োগের আশা