হুগলি, 2 মে : এবারের বিধানসভায় কংগ্রেস-সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি থাকবে না ৷ 1972 সালে সিপিএম-এর ভরাডুবিতেও খাতা বন্ধ হয়নি বামেদের ৷ যা এবার হল ৷ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, "ভ্রান্তনীতির জন্যই সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে । যেদিন চণ্ডীতলাতে মহম্মদ সেলিম, আবদুল মান্নান ও আব্বাস সিদ্দিকী তিনজনে মিলে মিটিং করেছিল সেদিনই বলেছিলাম, পশ্চিম বাংলার মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করবে ।" তিনি বলেন, ‘‘সেলিমের স্বপ্ন ছিল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার । সেই স্বপ্নের জন্যে সিপিএম আজ শূন্য বাংলায় । লোকসভাতে সিপিএম শূন্য, বিধানসভাতেও শূন্য হয়ে গেল ।’’
তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এই জয় ঐতিহাসিক জয় । বাংলার মানুষের জয় । মা মাটি মানুষের জয় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের যে বিশ্বাস তা আজ পরিস্ফুটিত হয়েছে । গত দুটি পর্যায় মমতার সরকার যেভাবে উন্নতি করেছে । মানুষ তার প্রতি আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে ভোট দিয়েছেন ।" বিজেপিকে কটাক্ষ করে শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, "নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ সবাই যেভাবে ধর্মের ভিত্তিতে এই পশ্চিমবাংলাতে মেরুকরণ করতে চেয়েছিলেন । বিভাজন করতে চেয়েছিলেন । তাঁদের বাংলার মানুষ একদম নস্যাৎ করে দিলেন । এবং এই যে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে আক্রমণ করেছেন তা মানুষ কোনওভাবেই মেনে নেয়নি । সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দিলেন রাজনীতিতে যাঁরা বেইমানি করবেন, সমস্ত ক্ষমতা ভোগ করে দলবদল করবেন । তাঁদের কিভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হয় ।"
তিনি আরও বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল সকলেই আছি । কিন্তু একটা সংস্কৃতির মধ্যে ছিলাম । এবারে বিজেপির নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহরা এরা এসে রাজনৈতিক সংস্কৃতিটাকে নষ্ট করতে চেয়েছিল । সেটা মানুষ ছুড়ে ফেলে দিল ৷"