কলকাতা, 15 এপ্রিল : ভোটের প্রচারে 24 ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা ছিল ৷ বন্ধ রাখতে হয়েছিল সবরকম সাংবাদিক বৈঠক ৷ কিন্তু এত সহজে দমে যাওয়াটা যেন ঠিক মমতাসুলভ নয় ৷ নিষেধাজ্ঞা উঠতেই রাতে 2 টি জনসভা করেছেন ৷ এই ছক ভাঙার খেলাতেই যেন অভ্যস্ত তিনি ৷ যখনই ধাক্কা খেয়েছেন, হোঁচট খেয়েছেন, তখনই গর্জে উঠেছেন ৷ সে বিরোধী নেত্রী হিসেবেই হোন... বা মা-মাটি-সরকারের নেত্রী হিসেবেই হোন ৷
আজ গোটা দিনে কোনও নির্বাচনী সভা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরিবর্তে পদযাত্রা করেছেন ৷ থুড়ি হুইল চেয়ার যাত্রা ৷ বেলেঘাটা গান্ধি ভবন থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত হুইল চেয়ার যাত্রা করলেন তৃণমূল নেত্রী ৷
দু'দিন পরেই পঞ্চম দফার ভোট ৷ ইভিএম বন্দী হবে শহরতলি ও সংলগ্ন উত্তর 24 পরগনার একটি বড় এলাকার রায় ৷ তার আগে আজ কলকাতার রাজপথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সামনে সামনে হুইল চেয়ারে বসে এগিয়ে চলছেন নেত্রী ৷ আর তাঁর পিছনে অগুনতি কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় ৷ পঞ্চম দফার ভোটের আগে আজকের এই পদযাত্রা নিঃসন্দেহে তৃণমূল সুপ্রিমোর এক কৌশলী চাল বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা ৷
শনিবারের ভোট ছাড়াও ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম দফার ভোটগ্রহণ এখনও বাকি ৷ চাইলে বাকি দিনগুলির মতো কোথাও না কোথাও সভা করতেই পারতেন ৷ কিন্তু তার বদলে তৃণমূল নেত্রী বেছে নিলেন রাজপথকে ৷ এ যেন পঞ্চম দফার ভোটের আগে নিজের শক্তি প্রদর্শন ৷
আরও পড়ুন : আপনার কেন্দ্রে ভোট কবে, জানেন ? দেখে নিন একনজরে
আজ যখন রাজপথে হুইল চেয়ারে বসে হাজারো মানুষের ভিড়ে মিশে যাচ্ছিলেন মমতা, তখন তাঁর পাশে আজ আরও একবার দেখা মিলল সমাজবাদী পার্টির নেত্রী জয়া বচ্চনের ৷ নেত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটলেন ৷ মাথায় আজও সপার সেই লাল টুপি ৷ মাঝে মাঝে মমতার হুইলচেয়ারও টানলেন ৷
রাস্তার দু'ধারে তখন ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মমতা-অনুগামী ৷ ভিড়ের জন্য মাঝে মাঝেই গতি কমাতে হয় পদযাত্রার ৷ কোথাও কোথাও থামাতেও হয় পদযাত্রা ৷ প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর বাড়ির সামনে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থামানো হয় পদযাত্রা ৷ হুইল চেয়ারে বসেই কথা বলেন সেখানকার মানুষদের সঙ্গে ৷ নিজেকে বাংলার ঘরের মেয়ে হিসেবে প্রমাণ করার আরও একবার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেন মমতা ৷
পঞ্চম দফার ভোটের আগে আজ কলকাতায় মমতার এই পদযাত্রা নিঃসন্দেহে শহরতলির ভোটে তৃণমূল শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে ৷ অন্তত এমনই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা ৷