কলকাতা, 1 এপ্রিল : রাজ্যের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নজরে নন্দীগ্রাম । তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী । এই ভোটকে ঘিরে গতকাল রাত থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে । ময়নায় গত রাতে বোমাবাজি হয় । আজও নন্দীগ্রামে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে । নন্দীগ্রাম জিততে দুই পক্ষই নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে । সকাল থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ অন্য়দিকে, একটু দেরি করেই ময়দানে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠছিল ৷ সেইসব বিষয়ে তদারকি করতে বুথ পরিদর্শনে বের হন মমতা ৷ বয়ালে বেশ কিছুক্ষণ বুথের ভিতরে আটকে ছিলেন তিনি ৷ বাইরে তখন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ চরম উত্তেজনা ৷ যদিও দু‘ঘণ্টা পর বুথ থেকে বেরিয়ে মমতা জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে কোনও চিন্তা নেই ৷ 90 শতাংশ ভোট পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি ৷
তৃণমূলের পক্ষ থেকে একই মন্তব্য করেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ৷ তিনি বলেন, "এই নির্বাচনে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিজেপি নিজেদের গুন্ডা বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল । কিন্তু বাংলার মানুষ এই চেষ্টাকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছেন । নন্দীগ্রামে বিপুল সংখ্যায় মানুষ ভোট দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷" বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল বহু জায়গায় পোলিং এজেন্ট বসাতে পারেনি । এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সুখেন্দুশেখর রায় । প্রত্যেকটি বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিয়েছে । এইসব বলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি ৷ সেইসঙ্গে দলের কর্মীদের জন্য বিজেপি এই ধরনের মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন, বয়ালে ক্ষুব্ধ মমতার নিশানায় মোদি-অমিত-কমিশন
এদিন তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে সবরকম কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করেছিল বিজেপি । সেইসব চেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে বাংলার মানুষ । এদিন বিজেপির গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা । কিন্তু এর থেকেও অনেক দুঃখজনক ঘটনা কেশপুরে মাত্র 36 বছরের তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বিজেপির বহিরাগত গুন্ডারা । বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি ।
আজ সকাল থেকেই তৃণমূল ভবন ছিল শুনসান । শূন্যতা ঘিরে রেখেছিল বাইপাসের ধারে 55 গ্রামের তৃণমূল ভবনকে । এই নীরবতা কোনও শুভ ইঙ্গিত নাকি কোনও অশনি সংকেত, তা বোঝা যাবে আগামী 2 মে ৷