কলকাতা, 20 এপ্রিল: অনেক তো মিটিং মিছিল করলেন ৷ এবার একটু সাধারণ মানুষকে বিচার করতে দিন । করোনায় প্রচার বন্ধ রাখার দাবিতে দায়ের হওয়া একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি । করোনা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত সুরক্ষাবিধি গ্রহণ করেছে প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিয়ে অবিলম্বে তা লাগু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারও যেন নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করে ৷ আজ এমনই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ । আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির ফের শুনানি হবে ।
আজ মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নির্বাচনের এই পরিস্থিতিতে কমিশনেরই শুধু দায়িত্ব আছে তা নয় । করোনা পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় সেই ব্যাপারে রাজ্যের একটা দায়িত্ব রয়েছে । কারণ ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে ভর্তি হয়ে গিয়েছে । বেড খালি পাওয়া যাচ্ছে না । অক্সিজেন নেই ।’’ পাশাপাশি মামলাকারীদের তরফে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে দু'জন প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন । আদালতের উচিত ব়্যালি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া । না হলে সাধারণ মানুষকে আটকানো সম্ভব নয় ।
আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টে যোগীর স্বস্তি, উত্তরপ্রদেশের 5 শহরে হচ্ছে না লকডাউন
আজ যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে মামলাকারীর তরফের আইনজীবী শমীক বাগচি জানান, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ স্পষ্ট জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো যথেষ্ট মিটিং মিছিল করেছে । ভোট অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে ৷ প্রায় শেষের দিকেই বলা যায় । এই পরিস্থিতিতে এইবার মিটিং-মিছিল যতটা কম করা যায় সেই চেষ্টাই করা উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর । পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা হলফনামায় করোনা নিয়ন্ত্রণে যে যে ব্যবস্থা অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছিল সেইগুলো কতদূর কার্যকর করা হয়েছে এবং এখনও না করা হয়ে থাকলে অবিলম্বে পুলিশের সহায়তায় তা যেন করা হয় । এই সমস্ত বিষয়ে কমিশন কতদূর কী করল বা কী পদক্ষেপ করল সেটা আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট ।
পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । রাজ্য সরকার শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে ৷ সেটা যেন না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।