কলকাতা, 23 মে: কোনও বিরোধী জোটই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে দাঁড়াতে পারবে না । এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । মঙ্গলবার তিনি জানান, কোনও বিরোধী জোটই তেমন সুবিধা করতে পারবে না ।
এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশী ও আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা সাক্ষাৎ করেন ৷ সেই বৈঠক নিয়ে এই কটাক্ষ করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার ।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আমলাদের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে অর্ডিন্যান্স এনেছে মোদি সরকার । তা আইনে পরিণত করতে, কেন্দ্র যাতে রাজ্যসভায় বিল পাস করতে না পারে, সেই নিয়ে বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা শুরু করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ ইতিমধ্যে তিনি নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন ৷ আজ বৈঠকে করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কি ফের বিরোধীদের এক জোট হওয়ার চেষ্টা চলছে ?
সুকান্ত মজুমদার বলেন ‘‘এই ধরনের ঐক্য আগেও হয়েছে । এইসব ঐক্য শেষপর্যন্ত থাকে না । আসলে প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হতে চায় । এই নিয়েই তাঁদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে । এটা জোট না, এটা ঘোঁট । নরেন্দ্র মোদির সামনে দাঁড়াবার মতো বিরোধীদের মধ্যে কোনও মুখ নেই ৷ তারা এরকম মাঝেমধ্যে আসবে ৷ বাংলার চপ শিল্পের চপ খাবে, কাটলেট খাবে ৷ চলে যাবে ।’’
অন্যদিকে আরও একাধিক ইস্যুতে তিনি মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ বালুরঘাটে দণ্ডি কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, আসলে আদিবাসী মানুষের সম্মানের চেয়ে দলের নেতানেত্রীদের দাম তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অনেক বেশি । তাই মূল অভিযুক্ত কে জানা সত্ত্বেও তৃণমূল তাঁকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ ।
এছাড়া ইসিএল ও ফ্রেট করিডরের জন্য জমি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে, তাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেলেও কয়লা চুরি কি কমবে ? সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানান, তিনি মনে করেন এতেও কয়লা চুরি কমবে না । কয়লা যে চুরি হয়, তাতে লাভ প্রচুর থাকে ৷ তাই কয়লা চুরি হয় । আর প্রশাসন ঢিলেঢালা হলেই কয়লা চুরির সুযোগ আরও মসৃণ হয় ।
পাশাপাশি এগরা, বজবজের পর মালদার ইংরেজবাজারেও বাজির দোকানে-গোডাউনে আগুন লেগে মৃত এক । জনবহুল বাজারের মধ্যে কীভাবে বাজির দোকান ? দায়ী কি পৌরসভা ? এই বিষয়ে তিনি জানান, পৌরসভায় পয়সা দিলেই সব হয়ে যায় । তৃণমূল আমলে পৌরসভা এখন পয়সাসভা হয়ে গিয়েছে । ওখানে এখন ফেলো কড়ি মাখো তেল ।
আরও পড়ুন: এখনও সময় আছে সামলে যাও, না হলে বিপদ আছে, তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর