কলকাতা, 12 অগস্ট: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান (PAC Chairman) হওয়া সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হলফনামা (Affidavit) জমা দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) । মামলাকারীকে আগামী 24 অগস্টের মধ্যে স্পিকারের বক্তব্যের পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি । পাশাপাশি মুকুল রায় এখনও এই মামলার হার্ড কপি হাতে পাননি বলে আজ আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী । মামলাকারী অম্বিকা রায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে যেন এই মামলার হার্ডকপি অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হয় ।
এর আগে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, বিষয়টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র বিধানসভার স্পিকারের । চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে তিনি চূড়ান্ত ক্ষমতা ভোগ করেন ৷ এ ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় । এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা আদালত যেন গ্রহণ না করে । তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সংবিধানের 212 নম্বর ধারা অনুযায়ী বিধানসভায় চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী স্পিকার । আদালত স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না ।
আরও পড়ুন: PAC : পিএসির চেয়ারম্যান মুকুল রায়, প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিজেপির
অন্যদিকে মামলাকারী অম্বিকা রায়ের বক্তব্য ছিল, মুকুল রায় বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন । কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কিছুদিন পরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন । বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সবসময় বিরোধী দল থেকেই মনোনীত হন ৷ কিন্তু মুকুল রায় এখন আর বিজেপির সদস্য নন । সেই কারণেই চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নিয়োগ বাতিল করা উচিত ।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari : শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্য়ুতে এফআইআর, প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছে বিজেপি
উল্লেখ্য, বিধানসভার প্রথা অনুযায়ী পিএসির চেয়ারম্যান করা হয় বিরোধীদলের কোনও বিধায়ককে । কিন্তু সেই রীতি ভেঙে মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হয়েছে বলে বিজেপি বিধানসভার ভেতরে বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল । কুড়ি সদস্যের পিএসি কমিটিতে 6 জনের নাম দিয়েছিল বিজেপি । কিন্তু তাঁদের কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করলেও চেয়ারম্যান করা হয় মুকুল রায়কে । মুকুল রায় দলবদল করায় বিজেপির তরফে মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়নি । স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অম্বিকা রায় ।