কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: এ বার বার্সেলোনাতেও হবে দুর্গাপুজো । তবে নমঃ নমঃ করে নয় । বরং তা হবে ঘটা করেই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্সেলোনা সফরকে সামনে রেখেই 4 থেকে বেড়ে সে দেশের বাঙালি কমিউনিটির সদস্য সংখ্যা এই মুহূর্তে 100 পার করেছে । তাঁরা চাইছেন, এ বছর দুর্গা পুজো হোক সেখানে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের শুধু এই বিষয়ে উৎসাহই যোগাননি, এই পুজোয় পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছেন ।
বার্সেলোনা সফরে গিয়ে এ বার সেখানকার বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় দাশগুপ্তের সঙ্গে দুর্গাপুজোর বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানেই তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি চান ধুমধাম করেই হোক এখানকার দুর্গাপুজো । দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা ৷ তাই আয়োজনে যেন কোনও কমতি না থাকে । আর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এমন উৎসাহে আপ্লুত প্রবাসীরা । তাই এ বার দুর্গাপুজো সেখানে হবে ষোলআনা বাঙালিয়ানার মেজাজেই ।
যেহেতু হাতে দুর্গাপুজোর জন্য খুব বেশি সময় নেই, তাই সুদূর কলকাতা থেকে এখন বার্সেলোনায় মূর্তি নতুন করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় । এ বছর যামিনী রায়ের আঁকা ছবির ডিজিটাল উপস্থাপনাকে সামনে রেখেই মণ্ডপ তৈরি করে হবে দুর্গা আবাহন । এক প্রবাসী বাঙালির পরিবারে একটি ছোট্ট দুর্গামূর্তি রয়েছে, সেটিকেই এ বার পুজোর জন্য ব্যবহার করা হবে ৷ আগামী বছর কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হবে মূর্তি ।
আরও পড়ুন: ছবিতে ফিরে দেখা মমতার মাদ্রিদ সফর
মুখ্যমন্ত্রীও এ বার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের যে প্রবাসের পুজোগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়, তার তালিকায় বার্সেলোনার পুজোকে রাখছেন । এদের আয়োজন দেখে জুরিরা যদি মনে করেন তারা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য, তাহলে সেই পুরস্কার দেওয়া হতে পারে বার্সেলোনায় বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের পুজো কমিটিকে । আর বার্সেলোনার বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, পুরস্কার বড় বিষয় নয় ৷ প্রবাসী শারদোৎসবের আয়োজনে তারা যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়েছেন, সেটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া ।