কলকাতা, 16 মার্চ : কোরোনা আতঙ্কের জের । 21 মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি আদালতের কাজকর্ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বার কাউন্সিল । আজ বার কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, গতকালই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা হাইকোর্ট বিজ্ঞপ্তিতে যে বিষয়গুলি জানানো হয়েছে, তার প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে রাজ্যের আইনজীবীরা 21 মার্চ পর্যন্ত আদালতের কাজকর্মে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন । 20 মার্চ বিকেল সাড়ে 4 টের সময় আবার এই বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য বার কাউন্সিলের তরফে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে ।
কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । শুধুমাত্র জরুরি মামলাগুলি শুনবে বলে আগেই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । এর পাশাপাশি গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আগামীকাল থেকে কলকাতা হাইকোর্টও শুধুমাত্র জরুরি মামলার শুনানি হবে । এবার 21 মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সব আদালতের কাজকর্ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বার কাউন্সিল । বার কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে আগামীকাল থেকে আইনজীবীরা কেউ আদালতের কাজকর্মে অংশগ্রহণ করবে না । যদিও হাইকোর্ট সূত্রে খবর বিচারপতিরা যেমন বসেন আগামীকাল তেমনই এজলাসে হাজির থাকবেন । জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি শুনানির জন্য তাঁরা উপস্থিত থাকবেন । আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করবেন কী করবেন না সেটা তাঁদের ব্যাপার ।
গতকালই হাইকোর্টের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল হাইকোর্টের মূল ভবনের A ও B গেটে মঙ্গলবার থেকে বসানো থাকবে বিশেষ যন্ত্র । যেখানে বিচারপতি থেকে শুরু করে কর্মচারী, সাধারণ মামলাকারী আইনজীবী প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে । কারও যদি জ্বর হয় সঙ্গে সঙ্গে ঢোকার মুখেই থাকা চিকিৎসকরা ব্যবস্থা নেবেন । প্রয়োজন অনুযায়ী হাইকোর্টের অর্ধেকের বেশি কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ।
যদিও আদালতের কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরোধী আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় । বার কাউন্সিলের তরফে গ্রহণ করা রেজ়লিউশনের আগেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ," সরকার বেশি করে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করুক তাতে লাভ হবে সাধারণ মানুষেরই । প্রতিদিন কয়েকশো জামিনের আবেদনের শুনানি হয় হাইকোর্টে সেগুলোর কি হবে ? পাশাপাশি অন্যান্য পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন । আদালতে যদি মামলার শুনানি না হয় তাহলে থানায় সেটেলমেন্ট হবে ।" বার কাউন্সিলের রেজ়লিউশনের পর তাঁকে ফোন করা হলে বলেন, তিনি তার বক্তব্য থেকে একটুও সরছেন না । তিনি আরও বলেন, হাওড়া, শিয়ালদা সহ বাকি স্টেশনগুলোতে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আসছে তাদের ব্যাপারে সরকার কী করছে ?"