ETV Bharat / state

বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বেআইনি, জানাল উচ্চশিক্ষা দপ্তর - বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র আচমকাই গ্রহণ করে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর

তকাল বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র আচমকাই গ্রহণ করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর । তাঁর জায়গায় মিল্লি আল আমিন কলেজে এলেন নতুন টিচার ইনচার্জ । বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁকে না জানিয়েই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে । এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন তিনি ।

baishakhi
baishakhi
author img

By

Published : Dec 18, 2019, 11:10 PM IST

কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর : বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বেআইনি । আজ এই কথা স্পষ্ট জানাল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর । মিল্লি আল-আমিন কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট আমিরুদ্দিন ববিকে রাজ্য সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারির তরফে পাঠানো চিঠিতে একথা জানানো হয়েছে । দপ্তর থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ নিয়ে না এগোতে আবেদনও করা হয়েছে চিঠিতে ।

গতকাল বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র আচমকাই গ্রহণ করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর । তাঁর জায়গায় মিল্লি আল আমিন কলেজে এলেন নতুন টিচার ইনচার্জ । বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁকে না জানিয়েই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে । এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন তিনি ।

7 অগাস্ট মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি ৷ তোলেন চক্রান্তের অভিযোগ ৷ দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজ করা হচ্ছে ৷ পুরো কাজটাই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ৷ শিক্ষামন্ত্রীকে এমন কাজ করতে নাকি নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

আজ আবার বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্রের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিল জল্পনা । কারণ, মিল্লি আল-আমিন কলেজ সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাওয়ার পরেও গভর্নিং বডি গঠন না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল । তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শেষ আলোচনার 1 সপ্তাহের মধ্যে মিল্লি আল-আমিন কলেজের গভর্নিং বডি গঠন করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর । 27 নভেম্বর গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয় আমিরুদ্দিন ববিকে ও সেক্রেটারি করা হয় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে । উচ্চশিক্ষা দপ্তর গঠিত গভর্নিং বডির সভাপতিকে আজ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনত মিল্লি আল-আমিন কলেজ সংখ্যালঘু দ্বারা পরিচালিত হলেও, এটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ হওয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিজ় অ্যান্ড কলেজেস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট ২০১৭-র আওতায় আসবে । তাই এই আইনের নিয়মবিধি স্পন্সরিং অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারিকে অন্য কোনও কথা বলার ক্ষমতা দেয় না ।

বিষয়টি নিয়ে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "চিঠিটা আমাকে পাঠানো হয়েছে । কিন্তু, আমার অভিজ্ঞতা বলছে, সরকার যখনই এইরকম পদক্ষেপ করেছে আমার কলেজ সেটা মানেনি । তাই আমার বিশেষ কোনও আশা নেই । কলেজ প্রশাসনের যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে সরকার যতই চেষ্টা করুক সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না । 15 বছর চাকরির পরে আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা চূড়ান্ত অপমানজনক । "

কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর : বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বেআইনি । আজ এই কথা স্পষ্ট জানাল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর । মিল্লি আল-আমিন কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট আমিরুদ্দিন ববিকে রাজ্য সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারির তরফে পাঠানো চিঠিতে একথা জানানো হয়েছে । দপ্তর থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ নিয়ে না এগোতে আবেদনও করা হয়েছে চিঠিতে ।

গতকাল বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র আচমকাই গ্রহণ করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর । তাঁর জায়গায় মিল্লি আল আমিন কলেজে এলেন নতুন টিচার ইনচার্জ । বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁকে না জানিয়েই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে । এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন তিনি ।

7 অগাস্ট মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি ৷ তোলেন চক্রান্তের অভিযোগ ৷ দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজ করা হচ্ছে ৷ পুরো কাজটাই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ৷ শিক্ষামন্ত্রীকে এমন কাজ করতে নাকি নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

আজ আবার বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্রের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিল জল্পনা । কারণ, মিল্লি আল-আমিন কলেজ সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাওয়ার পরেও গভর্নিং বডি গঠন না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল । তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শেষ আলোচনার 1 সপ্তাহের মধ্যে মিল্লি আল-আমিন কলেজের গভর্নিং বডি গঠন করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর । 27 নভেম্বর গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয় আমিরুদ্দিন ববিকে ও সেক্রেটারি করা হয় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে । উচ্চশিক্ষা দপ্তর গঠিত গভর্নিং বডির সভাপতিকে আজ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনত মিল্লি আল-আমিন কলেজ সংখ্যালঘু দ্বারা পরিচালিত হলেও, এটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ হওয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিজ় অ্যান্ড কলেজেস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট ২০১৭-র আওতায় আসবে । তাই এই আইনের নিয়মবিধি স্পন্সরিং অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারিকে অন্য কোনও কথা বলার ক্ষমতা দেয় না ।

বিষয়টি নিয়ে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "চিঠিটা আমাকে পাঠানো হয়েছে । কিন্তু, আমার অভিজ্ঞতা বলছে, সরকার যখনই এইরকম পদক্ষেপ করেছে আমার কলেজ সেটা মানেনি । তাই আমার বিশেষ কোনও আশা নেই । কলেজ প্রশাসনের যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে সরকার যতই চেষ্টা করুক সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না । 15 বছর চাকরির পরে আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা চূড়ান্ত অপমানজনক । "

Intro:কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর: আচমকাই গৃহীত হয়ে গেছিল বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র। গত ১৫ ডিসেম্বর মিল্লি আল-আমিন কলেজের অ্যাডহক গভর্নিং বডির বৈঠকে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়োগ করা হয় নতুন টিচার ইনচার্জও। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে জল্পনা-কল্পনা কম হয়নি। সেই জল্পনা আরও উস্কে দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর গঠিত মিল্লি আল-আমিন কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট আমিরুদ্দিন ববিকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের থেকে রাজ্য সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারির তরফ থেকে পাঠানো চিঠি। সেই চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণের অ্যাডহক গভর্নিং বডির যে সিদ্ধান্ত তা বেআইনি। দপ্তর থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ নিয়ে না এগোতে আবেদনও করা হয়েছে চিঠিতে।

Body:এটা প্রথমবার নয়। এর আগে মিল্লি আল-আমিন কলেজের এক অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে চলতি বছর অগাস্টে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। তারপরে গত ৫ ডিসেম্বর আবার মিল্লি আল-আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অধ্যাপনা থেকেও অব্যাহতি চান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবার পাঠান পদত্যাগপত্র। কিন্তু, পদত্যাগপত্র দেওয়ার পরেরদিনই তাঁকে ফোন করে হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় জন্য আবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর কথা বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট মহল ধরেই নিয়েছিল, গতবারের মতো এবারও তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না।

কিন্তু, জল্পনা উস্কে আচমকাই গৃহীত হয়ে যায় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র। মিল্লি আল-আমিন কলেজ সূত্রে জানা গেছিল, বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫ ডিসেম্বরের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। তাঁর পদত্যাগের পর কলেজে যে প্রশাসনিক ক্রাইসিস দেখা দেয় তার ভিত্তিতে মিল্লি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের ম্যানেজিং কমিটির জরুরি বৈঠক হয় ১৩ ডিসেম্বর। সেই বৈঠকে মুস্তাক আহমেদ সিদ্দিকীকে সভাপতি করে গঠন করা হয় ১১ সদস্যের একটি অ্যাডহক গভর্নিং বডি। সেই অ্যাডহক গভর্নিং বডির বৈঠক ডাকা হয় ১৫ ডিসেম্বর। সেই বৈঠকেই বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বৈঠকেই মিল্লি আল-আমিন কলেজের এডুকেশন বিষয়ের অধ্যাপিকা পারভিন করকে টিচার ইনচার্জ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। বৈঠকের পরের দিন অর্থাৎ, ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে টিচার ইনচার্জ পদে নিয়োগ করার বিষয়টি জানানোও হয় গভর্নিং বডির তরফে। পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ আবার বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্রের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিল জল্পনা। কারণ, মিল্লি আল-আমিন কলেজ সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাওয়ার পরেও গভর্নিং বডি গঠন না হওয়ায় বহু সমস্যা হচ্ছিল। তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শেষ আলোচনার ১ সপ্তাহের মধ্যে মিল্লি আল-আমিন কলেজের গভর্নিং বডি গঠন করে দেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর। গত ২৭ নভেম্বর গঠন হওয়া এই গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয় আমিরুদ্দিন ববিকে ও সেক্রেটারি করা হয় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উচ্চশিক্ষা দপ্তর গঠিত গভর্নিং বডির সভাপতিকে আজ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আইনত মিল্লি আল-আমিন কলেজ সংখ্যালঘু দ্বারা পরিচালিত হলেও, এটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ হওয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস অ্যান্ড কলেজেস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট ২০১৭-র আওতায় আসবে। তাই এই আইনের বিধি স্পন্সরিং অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারিকে অন্য কোনও কথা বলার কোনও ক্ষমতা দেয় না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মিল্লি আল-আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জ বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়ে বলা হচ্ছে, গত ১৫ ডিসেম্বর অ্যাডহক গভর্নিং বডির নেওয়া সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বেআইনি। মিল্লি আল-আমিন কলেজ ফর গার্লের কোনও অ্যাডহক গভর্নিং বডিই কোনও অস্তিত্ব নেই। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে এবং তা গত ২৭ নভেম্বর দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নতুন গভর্নিং বডি গঠনের পর যদি কোনও অ্যাডহক গভর্নিং বডি থেকেও থাকে তার অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায়। তাই এই সো কলড অ্যাডহক গভর্নিং বডির কোনো ক্ষমতাই নেই বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার। চিঠিতে সভাপতিকে আবেদন করা হয়েছে দপ্তরকে জানিয়ে শীঘ্রই নতুন গঠিত রেগুলার গভর্নিং বডির বৈঠক করতে। পাশাপাশি, দপ্তর থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ নিয়ে না এগোতে আবেদনও করা হয়েছে চিঠিতে।

গোটা বিষয়টি নিয়ে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "চিঠিটা আমাকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, আমার অভিজ্ঞতা বলছে, সরকার যখনই এইরকম পদক্ষেপ নিয়েছে আমার কলেজ সেটা কখনই মানেনি। তাই আমার বিশেষ কোনও আশা নেই। কলেজ প্রশাসনের যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে সরকার যতই চেষ্টা করুক সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে ১৫ বছর চাকরির পরে তা চূড়ান্ত অপমানজনক। আমাকে সরানোর জন্য একটা ফেক গভর্নিং বডি তৈরি করে সেক্রেটারি আমাকে ইমপার্সোনেট করে আমাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, এটা চরম লাঞ্ছনা। আগামীদিনে দেখব যে শিক্ষা দপ্তর কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয় কিনা।"
Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.