ETV Bharat / state

আচমকাই গৃহীত বৈশাখির ইস্তফাপত্র - বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়

বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর ।

বৈশাখি
বৈশাখি
author img

By

Published : Dec 17, 2019, 7:51 PM IST

Updated : Dec 17, 2019, 11:07 PM IST

কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর : বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র আচমকাই গ্রহণ করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর । তাঁর জায়গায় মিল্লি আল আমিন কলেজে এলেন নতুন টিচার ইনচার্জ । বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁকে না জানিয়েই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে । এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেন তিনি।

7 অগাস্ট মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি ৷ তোলেন চক্রান্তের অভিযোগ ৷ দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজ করা হচ্ছে ৷ পুরো কাজটাই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ৷ শিক্ষামন্ত্রীকে এমন কাজ করতে নাকি নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

এরপর 14 অগাস্ট দিল্লি গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে BJP-তে যোগ দেন তিনি । জানা যায়, কলকাতায় ফেরার পর তাঁদের দলের সাংগঠনিক কাজের বিশেষ দায়িত্ব দিতে চলেছে BJP । কিন্তু, প্রথম থেকেই নানা বিষয়ে দলের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব তৈরি হয় । আর দু'মাসের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে দেখা যায় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে । শুরু হয় জল্পনা । এরপর কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ফোঁটা নেন শোভনবাবু । সঙ্গে ছিলেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও দেখা যায় দু'জনকে । এই সব দেখে অনেকেই মনে করতে শুরু করেন যে, কাননের সঙ্গে দিদির দূরত্ব কমছে ।

এরপর ৬ ডিসেম্বর মিল্লি আল আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি ৷ রাতেই তাঁকে ফোন করে নাকি হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য আবেদন জানান শিক্ষামন্ত্রী। আর আজ হঠাৎ সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর । যা নিয়ে তাঁকে জানানো হয়নি বলে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কের কারণে ভেবেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা দপ্তর তাঁকে পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানাবে । কিন্তু, তাঁকে জানানো হয়নি । এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, "আজ সকালে জানতে পারলাম । 15 বছর যে কলেজে কাজ করলাম তারা বা শিক্ষা দপ্তর এত আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও আমাকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করল না । যাঁকে নতুন নিয়োগ করেছে তাঁর চিঠির উপর লিখে রাখা রয়েছে বৈশাখি ব্যানার্জির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হল । সেই জায়গায় নতুন টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করা হল । আমাকে একবারও জানানো হয়নি । WBCUPA থেকে যখন সরানো হল তখনও জানানো হয়নি । গুরুদাস কলেজের গভর্নিং বডির নমিনি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ও জানানো হয়নি । ন্যূনতম সৌজন্য নেই এখানে ।"

কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর : বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র আচমকাই গ্রহণ করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর । তাঁর জায়গায় মিল্লি আল আমিন কলেজে এলেন নতুন টিচার ইনচার্জ । বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁকে না জানিয়েই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে । এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেন তিনি।

7 অগাস্ট মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি ৷ তোলেন চক্রান্তের অভিযোগ ৷ দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজ করা হচ্ছে ৷ পুরো কাজটাই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ৷ শিক্ষামন্ত্রীকে এমন কাজ করতে নাকি নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

এরপর 14 অগাস্ট দিল্লি গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে BJP-তে যোগ দেন তিনি । জানা যায়, কলকাতায় ফেরার পর তাঁদের দলের সাংগঠনিক কাজের বিশেষ দায়িত্ব দিতে চলেছে BJP । কিন্তু, প্রথম থেকেই নানা বিষয়ে দলের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব তৈরি হয় । আর দু'মাসের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে দেখা যায় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে । শুরু হয় জল্পনা । এরপর কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ফোঁটা নেন শোভনবাবু । সঙ্গে ছিলেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও দেখা যায় দু'জনকে । এই সব দেখে অনেকেই মনে করতে শুরু করেন যে, কাননের সঙ্গে দিদির দূরত্ব কমছে ।

এরপর ৬ ডিসেম্বর মিল্লি আল আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি ৷ রাতেই তাঁকে ফোন করে নাকি হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য আবেদন জানান শিক্ষামন্ত্রী। আর আজ হঠাৎ সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর । যা নিয়ে তাঁকে জানানো হয়নি বলে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কের কারণে ভেবেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা দপ্তর তাঁকে পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানাবে । কিন্তু, তাঁকে জানানো হয়নি । এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, "আজ সকালে জানতে পারলাম । 15 বছর যে কলেজে কাজ করলাম তারা বা শিক্ষা দপ্তর এত আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও আমাকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করল না । যাঁকে নতুন নিয়োগ করেছে তাঁর চিঠির উপর লিখে রাখা রয়েছে বৈশাখি ব্যানার্জির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হল । সেই জায়গায় নতুন টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করা হল । আমাকে একবারও জানানো হয়নি । WBCUPA থেকে যখন সরানো হল তখনও জানানো হয়নি । গুরুদাস কলেজের গভর্নিং বডির নমিনি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ও জানানো হয়নি । ন্যূনতম সৌজন্য নেই এখানে ।"

Intro:কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর: অবশেষে বৈশাখী ব্যানার্জির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর । তাঁর জায়গায় মিল্লি আল আমিন কলেজে এলেন নতুন "টিচার ইনচার্জ"। তবে পদত্যাগ পত্র গ্রহণের কথা সৌজন্য বশত তাঁকে জানানো উচিত ছিল বলে ইটিভি ভারতের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈশাখী ব্যানার্জি ।


Body:মিল্লি আল আমিন কলেজের এক অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে গত অগাস্ট মাসে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বৈশাখী ব্যানার্জি। সে সময়েও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু শিক্ষা
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেননি। গত ৫ ডিসেম্বর টিচার ইনচার্জের পদ থেকে আবারও ইস্তফা দেন বৈশাখী। এবারে স্কুল শিক্ষা দপ্তর গ্রহণ করল তাঁর ইস্তফা পত্র। বৈশাখী ভেবেছিলেন সুন্দর সম্পর্কের কারণে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা শিক্ষা দপ্তর তাঁকে পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানাবে। কিন্তু তিনি জানতে পারেননি । এই বিষয়টিকে নিয়ে ইটিভি ভারতের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈশাখী। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "আজ সকালে জানতে পারলাম। ১৫ বছর যে কলেজে কাজ করলাম তাঁরা বা শিক্ষা দপ্তর এতো আশ্বাস দেওয়া সত্তেও আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করল না। যাকে নতুন নিয়োগ করেছে তাঁর চিঠির ওপরে লিখে রাখা রয়েছে বৈশাখী ব্যানার্জির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হল। সেই জায়গায় নতুন টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করা হলো বলে ব্যক্তির নাম রয়েছে । " তিনি আরও বলেন, আমাকে কোনও বারই জানানো হয় না । ওয়েবকুপা থেকে যখন সরানো হলো তখনও জানানো হয়নি। গুরুদাস কলেজের গভর্নিং বডির নমিনি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ও জানানো হয়নি। নূন্যতম সৌজন্যতা নেই ।"



Conclusion:
Last Updated : Dec 17, 2019, 11:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.