কলকাতা, 17 মে : সকাল সকাল নাটকীয়ভাবে বাড়ি থেকে গ্রেফতার ৷ 6 ঘণ্টা ধরে নিজাম প্যালেসে রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বাইরে তখন প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে ৷ সারাদিনের নাটকের পর সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করে সন্ধ্যায় নারদ মামলায় জামিন পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও বিধায়কের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোন পাঁচটি যুক্তি আদালতের সামনে পেশ করেছিলেন তা জানিয়েছেন তিনি ৷
1) কল্যাণের দাবি, ভিডিয়োতে কেউ ঘুষ চাননি ৷ ঘুষ না চেয়ে এমনি হাতে ঘুষ ধরিয়ে দিলে সেটাকে ব্রাইব বলা যায় না ৷ তিনি বলেছেন, এটা প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টে পড়ছে না ৷ ফলে ঘুষ নিয়েছেন এটা বলা যায় না ৷
2) সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল করোনা পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় গ্রেফতার করা যাবে না ৷ সেখানে 2016 সালের মামলায় হঠাৎ এইসময় গ্রেফতারি কেন ? প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ ৷
3) রাজ্যপালের স্বাধীনভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি নেই ৷ প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছেও অনুমতি নেওয়া হয়নি ৷ রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যে অনুমতি দিয়েছেন তা অসাংবিধানিক ৷
আরও পড়ুন : তুমি কোন কাননের ফুল...
4) ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের মন্ত্রী ৷ তারা কোথাও পালিয়ে যাননি ৷ এই সময়ের মধ্যে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ ওঠেনি ৷ ফলে জামিন পেলে প্রমাণ লোপাট করে দেবেন এমন আশঙ্কা নেই ৷
5) শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়দের মতো নেতারা নারদ মামলায় জড়িত থাকলেও শুধু বেছে বেছে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ ৷