কলকাতা, 6 জুলাই: ফের চাকরির আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ববিতা সরকার। তাঁর আর্জির প্রেক্ষিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর সিট প্রকাশের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে ববিতার অভিযোগ ছিল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে একাধিক উত্তরপত্র বিকৃত অবস্থায় মিলেছে ৷ এর মধ্যে অনেকেই ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন ৷ আর সেই তথ্য সামনে এনেই মামলা দায়ের করেন ববিতা ৷
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে চাকরি মিললেও ফের হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি চলে যায় ববিতা সরকারের ৷ মেধা তালিকায় তাঁর উপরে থাকা প্রার্থীকে ববিতার চাকরি ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ৷ চাকরি ফেরৎ পাওয়ার আশায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা সরকার। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ করার দাবিতে মামলা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, এই অভিযোগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতা সরকারকে সেই পদে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ববিতা সরকারের সেই চাকরি পেয়েছেন অন্য আরেকজন। ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, 2016 সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পাঁচ হাজার 500 জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে 907টি বিকৃত উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) উদ্ধার করে সিবিআই। এর মধ্যে 138 জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে (প্রতীক্ষিত তালিকায়)।
ববিতার আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কীভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি প্রথম 20 জনের মধ্যে দুর্নীতির কারণে কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন তবে তাঁর শিক্ষিকা হওয়ার আবার সুযোগ আসবে। তাই প্যানেল প্রকাশ করার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷