কলকাতা, 13 জানুয়ারি: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম কিংপিং অয়ন শীল ৷ এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷ তদন্তে নেমে তাঁর সল্টলেকের বাড়ি এবং অফিস থেকে একাধিক নথিপত্র উদ্ধার করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা ৷ উদ্ধার হওয়া সেই নথির মধ্যে ছিল একটি ধূসর রঙা ডায়েরি। ইডি সূত্রের খবর, ওই ডায়েরিতে অয়ন একটি মাসোহারার হিসেব তৈরি করে রেখেছিলেন। সেই মাসোহারার হিসেব মিলিয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা দেখতে পেয়েছেন, পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের একাধিক কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পৌর প্রধান এবং পৌর আধিকারিকদের কয়েক কোটি টাকা দেওয়া হত ।
তদন্তকারীদের অনুমান, এই কোটি কোটি টাকা নিয়োগ দুর্নীতির লভ্যাংশের ফল । ইডির দাবি, অয়ন শীলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সংশ্লিষ্ট ডায়েরি থেকেই তদন্তকারীরা একাধিক রহস্যজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং নামের উল্ল্যেখ পেয়েছেন ৷ সেগুলির ভিত্তিতে শুক্রবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পাশাপাশি তৃণমূল নেতা তাপস রায় এবং সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা ।
মূলত অয়ন শীলের অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পৌরসভার আধিকারিকদের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে না চাইলেও তদন্তকারীদের দাবি, পৌরসভায় গাছে জল দেওয়ার মালি থেকে কম্পিউটার অপারেটর এবং গাড়ির চালক থেকে বিভিন্ন ছোটখাটো পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল । সেই সকল টাকার একটি অংশ চলে যেত পৌর আধিকারিক থেকে রাজ্যের প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্টে ।
পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গতকাল সুজিত বসু, তাপস রায় এবং সুবোধ অধিকারীর ফ্ল্যাটে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা । তাপস রায়ের বাড়ি থেকে একাধিক নথিপত্র-সহ একটি মোবাইল ফোন এবং সুজিত বসুর বাড়ি থেকেও বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা । সেগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে পরবর্তীকালে কীভাবে তদন্ত অগ্রগতি পাবে, সেই দিকেই লক্ষ্য স্থির করেছে ইডি ।
আরও পড়ুন: