কলকাতা, 7 জানুয়ারি: রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ইনসাফ সভা শেষে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পড়ে শোনালেন এই মুহূর্তে বামেদের 'ক্যাপ্টেন' মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তারপরে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সংবিধানের প্রস্তাবনাও পাঠ করলেন তিনি। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্যের পর এদিন দ্বিতীয়বারের জন্য পোডিয়ামে ওঠেন মীনাক্ষী। এদিন তিনি বলেন, ‘‘কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমাদের ডিওয়াইএফআই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর বাড়িতে আমরা শনিবার গিয়েছিলাম। লড়াইয়ের উষ্ণতা নিয়েই ফিরেছি। ওনার বার্তা উনি ওনার স্ত্রী এবং মেয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। এটাই আমাদের লড়াইয়ের ডাক। এটাই ডিওয়াইএফআই'কে উজ্জীবিত করেছিল। এটাই ডিওয়াইএফআই। সুতরাং ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।’’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা আমাদের প্রাক্তনী, সংগঠকের সুস্থতা কামনা করছি।’’ এরপর রবীন্দ্রনাথের একটি গানের কয়েকটি লাইন পাঠ করেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে, আমরা প্রস্তুত।’ শেষে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করান তিনি। এর আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মীনাক্ষী বলেন, "এই তিরঙা বাঁচানোর জন্য দেশকে বাঁচানোর লড়াই। গোটা রাজ্যের রাজনীতি যখন বামেরা নেয় তখন বামদিকের সমস্যা হয়। এই লড়াইয়ের শেষ আমরা করবই। মাঠের দখল কিসিকা বাপকা মাজল নেহি হ্যায়।"
এর পাশাপাশি মীনাক্ষী এদিন বলেন, "প্রাণ গেলেও মাঠ ছাড়ব না। বামপন্থীদের লড়াই একটা গলির নয়, বামপন্থীরা রক্তবীজের ঝাড় ৷ ইনসাফের লড়াই ক্ষণিকের নয়। নকল যুদ্ধ ছাড়ো, আসল যুদ্ধের কাজ করো।" শুধু তাই নয়, বামেরা শূন্য বলে যে কটাক্ষ করা হত তা নিয়েও মুখ খুলেছেন মীনাক্ষী ৷ তিনি বলেন, "কোন মূর্খরা বলে বামপন্থীরা শূন্য ! যারা বলছে তারা শূন্যের মূল্য জানে না ৷ আমাদের কাজ গোটা সিস্টেম বদলানো। ছোট বেলায় বাবার হাত ধরে আসতাম। ওই কোনায় বসতাম । আজ ওনারা এসেছেন। ওনারা শেখায়নি রাজনীতি করতে গেলে চোরেদের হাত ধরতে হবে।"
পাশাপাশি মীনাক্ষী বলেন, "লাশকাটা ঘরের গন্ধ এখনও নাক থেকে যায়নি। এদেরকে কীভাব ছাড়ব ! কথা দিতে পারি, লড়াইয়ের মাটি থেকে এক ইঞ্চি জমি দেব না। যে শিক্ষিকা নিজের মাথা কামাল তাঁর চোখের জলের দাম নেবেন না ? আমরা কামব্যাক করার লড়াই করছি। টি-20 নয়, টেস্ট ম্যাচ।"
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
আরও পড়ুন: