কলকাতা, 6 জুন: ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। এবার ঘটনাস্থল শিয়ালদা বাজার। মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ আচমকা শিয়ালদার জগৎ সিনেমার কাছে বাজারে বিধ্বংসী আগুন লাগে। বাজারের মধ্যে একাধিক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে ৷
শিয়ালদার সূর্যসেন স্ট্রিট-এর মত জনবহুল জায়গায় আগুন লাগার ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। কিন্তু শিয়ালদার মতো ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের ৷ এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে দমকলের মোট দশটি ইঞ্জিন রয়েছে। ঘটনাস্থলে এসেছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং মুচিপাড়া থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে ৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যে 8টা নাগাদ বাজারের ভিতরে আগুন দেখতে পান তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে ৷ দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুনের ভয়াবহতা দেখে হাইড্রোলিক ল্যাডার আনেন ৷ বহুতলের জানালার কাঁচ ভেঙে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহত কিংবা আহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে দমকল সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ওই বাজারে একাধিক দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে ৷ তার ফলে আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। রাস্তার একাংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আগুন লাগা বহুতলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ঘিরে তরজা কাউন্সিলর ও মেয়রের
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দমকলের কর্মীরা আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। ঘিঞ্জি জায়গা হওয়ার জন্যেও একাধিক দমকলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তবে ছ'তলার উপরে আগুন লাগায়, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। আগের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ চলছে ৷
প্রসঙ্গত, 10 মে রাজভবনের অদূরে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল ৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও ৷