কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: কথায় কথায় ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, লুঠতরাজ রুখতে এবার কড়া হল রাজ্য সরকার (Bengal Government) । মঙ্গলবার এই সমস্ত সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ রুখতে রাজ্য বিধানসভায় সংশোধনী বিল পাস করা হল সরকারের তরফে (New Law to Stop Destruction of Property) ৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট 2023 এর মাধ্যমে এবার থেকে এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকলে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে । এদিন একই সঙ্গে বিলে বলা হয়েছে অভিযুক্ত হিসেবে যাঁকে চিহ্নিত করা হবে তাঁকে আদালত ডাকবে । 180 দিনের মধ্যে দোষ প্রমাণ করতে না পারলে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি ।
এদিন এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায় বন্দে ভারতের উপর হামলার প্রসঙ্গ তোলেন । যদিও এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ তাঁর কথায়, এই হামলার বিষয় রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত নয়, ওটা রেলের আওতাভুক্ত । তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই আইন রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকরি হবে । যদিও বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের অধিকার হরণ করতেই এই বিল আনা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে বিল আনা হয়েছে, তা নিয়েও একটা রাজনৈতিক তরজা তৈরি হয়েছে । কারণ, 2019 সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিক্ষোভ সামাল দিতে উত্তরপ্রদেশে একই ধরনের একটা আইন পাস করা হয়েছিল । প্রশ্ন হল, সেই সময় এই রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Government) এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল । এই মুহূর্তে আবার কেন একই ধরনের বিল এই রাজ্যে আনা হল ?
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের মূল আইনের সঙ্গে এ রাজ্যের আইনের যথেষ্ট ফারাক রয়েছে । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অভিযুক্তদের আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হবে । এরপর তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে কি না বা সেগুলি নিলাম করে তাঁর থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে আদালত ।’’ এখানেই শেষ নয়, 180 দিনের মধ্যে যদি অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ না দেখাতে পারে রাজ্য সরকার, সেক্ষেত্রে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী ।
আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবে উঠল গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গণভোটের দাবি