ETV Bharat / state

জামাত আমের ইজ়াজ়ের ডানহাত আসাদুল্লা, ছিল গয়াতেই !

মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) চেন্নাই থেকে গ্রেপ্তার করে আসাদুল্লাকে ।

author img

By

Published : Sep 12, 2019, 11:39 AM IST

আসাদুল্লা

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর : আলাপ শিমুলিয়া মাদ্রাসায় । দু'জনকেই পছন্দ করত কওসর ওরফে বোমারু মিজান । জামাত-উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার তৎকালীন চিফ কওসর কথা বলিয়ে দিয়েছিল জামাত আমের সালাউদ্দিনের সঙ্গেও । তারপর থেকেই বলতে গেলে জুটি ইজ়াজ়-আসাদুল্লা । এমন কী আন্ডারগ্রাউন্ডে তারা থাকত একসঙ্গেই । একে অপরকে দিত সুরক্ষা ৷ গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে ।

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) সূত্রে খবর, জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার বর্তমান আমের ইজ়াজ়কে (ইজ়াজ় গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন আমের এখনও পর্যন্ত নির্বাচিত হয়নি বলে খবর) গ্রেপ্তার করতে গিয়ে চার জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । বিহারের গয়ার পাঠানতলিতে একটি ভাড়াবাড়িতে পরিচয় গোপন করে প্রায় দু'বছর লুকিয়ে ছিল ইজ়াজ় । সেখান থেকে অবশ্য মাঝেমধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেত । এমনই জানিয়েছেন ওই বাড়ির মালিক । পাঠানতলিতে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে । মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রির কাজও করত । সেই সূত্রে সে ঘরে রাখত রাজমিস্ত্রির বিভিন্ন সরঞ্জাম । সঙ্গে পাঠানতলির প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রয়োজনে লোকজনের চিকিৎসা করত । সেই সূত্রে তার নাম হয়ে যায় ডাক্তারবাবু । যদিও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, একাধিক নামে পরিচিত ছিল সে । কোথাও তার নাম ইজ়াজ় মৌলবী । কোথাও আবার জিতু । আর তার আসল নাম তো ছিলই । শেখ ইউসুফ । এইসব ছদ্য নামে সে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত । নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাজে তার এই সফর । দেশের কোথাও কোথাও সে ফেরিওয়ালা বেশও ধরেছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা । এক্ষেত্রে সব সময় তার সঙ্গেই থাকত আসাদুল্লা । তবে পাঠানতলিতে থাকত না সে । থাকত পাঁচ কিলোমিটার দূরে ।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইজ়াজ়কে গ্রেপ্তার করার দিন আসাদুল্লা তিনটি SMS করে তাকে । উত্তর না পেতেই সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী সতর্ক হয়ে যায় সে । প্রায় এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়ে গয়ার ভাড়াবাড়ি থেকে । সঙ্গে ছিল বিবি এবং পাঁচ ছেলে । তার বিবি বর্তমানে সন্তানসম্ভবা । তাদের সে তুলে দেয় কলকাতাগামী ট্রেনে । ইজ়াজ়কে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আসাদুল্লার খোঁজ ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে ‌। সেই সূত্রে বর্ধমানে তার বিবিকে আটকায় গোয়েন্দারা । তখন তিনি সন্তানসম্ভবা অবস্থায় পাঁচ সন্তানকে নিয়ে প্রায় দিশেহারা । কিন্তু কলকাতা পুলিশকে ধোঁকা দেওয়া যায়নি । তাঁকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে পড়ে সত্যি । জানা যায়, ইজ়াজ়ের ধরা পড়ার খবর পেতেই সক্রিয় হয় আসাদুল্লা । বিবিকে নিয়ে পালায় গয়ার ডেরা থেকে । কোনও মতে আসে গয়া স্টেশনে । সেখান থেকে সে কলকাতাগামী ট্রেনে তুলে দেয় সন্তানসম্ভবা বিবি সহ সন্তানদের । তারা বর্ধমানে এসে নামে । প্রসঙ্গত, বর্ধমানের ভাতারে বাড়ি আসাদুল্লার ।

বর্ধমান স্টেশনে আসাদুল্লার বিবিকে আটক করে পুলিশ । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারে, বিবিকে কলকাতাগামী ট্রেনে তুলে দিয়ে নিজে বেপাত্তা হয়েছে আসাদুল্লা । এরই মাঝে কলকাতায় মিটিং করার ছক করে জামাত-উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া । সেই সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হয় কাশেম বারি সহ তিনজন । সূত্র জানাচ্ছে, যে 11 জনের কলকাতায় এসে বৈঠক করার কথা ছিল, তাদের নেতা এই আসাদুল্লা । গোয়েন্দারা তার বিবির মারফত জানতে পারে তামিলনাড়ুতে আগে থাকত এই আসাদুল্লা । বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনের টাইম মিলিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, ফের তামিলনাড়ুতেই যাচ্ছে আসাদুল্লা । সেখানে বহুদিন থেকেছে এই জঙ্গি । ঠিকানা তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের 1/108 AA নগর, সেনালপুরম চেন্নাই । তার পরিচিত ছিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে ।

শেষরক্ষা হয়নি । পুলিশ পৌঁছে যায় চেন্নাইয়ে ইজ়াজ়ের ডানহাত আসাদুল্লার নেওয়া ভাড়াবাড়িতে । মঙ্গলবার সকালে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয় আসাদুল্লাকে ।

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর : আলাপ শিমুলিয়া মাদ্রাসায় । দু'জনকেই পছন্দ করত কওসর ওরফে বোমারু মিজান । জামাত-উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার তৎকালীন চিফ কওসর কথা বলিয়ে দিয়েছিল জামাত আমের সালাউদ্দিনের সঙ্গেও । তারপর থেকেই বলতে গেলে জুটি ইজ়াজ়-আসাদুল্লা । এমন কী আন্ডারগ্রাউন্ডে তারা থাকত একসঙ্গেই । একে অপরকে দিত সুরক্ষা ৷ গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে ।

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) সূত্রে খবর, জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার বর্তমান আমের ইজ়াজ়কে (ইজ়াজ় গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন আমের এখনও পর্যন্ত নির্বাচিত হয়নি বলে খবর) গ্রেপ্তার করতে গিয়ে চার জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । বিহারের গয়ার পাঠানতলিতে একটি ভাড়াবাড়িতে পরিচয় গোপন করে প্রায় দু'বছর লুকিয়ে ছিল ইজ়াজ় । সেখান থেকে অবশ্য মাঝেমধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেত । এমনই জানিয়েছেন ওই বাড়ির মালিক । পাঠানতলিতে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে । মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রির কাজও করত । সেই সূত্রে সে ঘরে রাখত রাজমিস্ত্রির বিভিন্ন সরঞ্জাম । সঙ্গে পাঠানতলির প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রয়োজনে লোকজনের চিকিৎসা করত । সেই সূত্রে তার নাম হয়ে যায় ডাক্তারবাবু । যদিও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, একাধিক নামে পরিচিত ছিল সে । কোথাও তার নাম ইজ়াজ় মৌলবী । কোথাও আবার জিতু । আর তার আসল নাম তো ছিলই । শেখ ইউসুফ । এইসব ছদ্য নামে সে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত । নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাজে তার এই সফর । দেশের কোথাও কোথাও সে ফেরিওয়ালা বেশও ধরেছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা । এক্ষেত্রে সব সময় তার সঙ্গেই থাকত আসাদুল্লা । তবে পাঠানতলিতে থাকত না সে । থাকত পাঁচ কিলোমিটার দূরে ।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইজ়াজ়কে গ্রেপ্তার করার দিন আসাদুল্লা তিনটি SMS করে তাকে । উত্তর না পেতেই সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী সতর্ক হয়ে যায় সে । প্রায় এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়ে গয়ার ভাড়াবাড়ি থেকে । সঙ্গে ছিল বিবি এবং পাঁচ ছেলে । তার বিবি বর্তমানে সন্তানসম্ভবা । তাদের সে তুলে দেয় কলকাতাগামী ট্রেনে । ইজ়াজ়কে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আসাদুল্লার খোঁজ ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে ‌। সেই সূত্রে বর্ধমানে তার বিবিকে আটকায় গোয়েন্দারা । তখন তিনি সন্তানসম্ভবা অবস্থায় পাঁচ সন্তানকে নিয়ে প্রায় দিশেহারা । কিন্তু কলকাতা পুলিশকে ধোঁকা দেওয়া যায়নি । তাঁকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে পড়ে সত্যি । জানা যায়, ইজ়াজ়ের ধরা পড়ার খবর পেতেই সক্রিয় হয় আসাদুল্লা । বিবিকে নিয়ে পালায় গয়ার ডেরা থেকে । কোনও মতে আসে গয়া স্টেশনে । সেখান থেকে সে কলকাতাগামী ট্রেনে তুলে দেয় সন্তানসম্ভবা বিবি সহ সন্তানদের । তারা বর্ধমানে এসে নামে । প্রসঙ্গত, বর্ধমানের ভাতারে বাড়ি আসাদুল্লার ।

বর্ধমান স্টেশনে আসাদুল্লার বিবিকে আটক করে পুলিশ । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারে, বিবিকে কলকাতাগামী ট্রেনে তুলে দিয়ে নিজে বেপাত্তা হয়েছে আসাদুল্লা । এরই মাঝে কলকাতায় মিটিং করার ছক করে জামাত-উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া । সেই সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হয় কাশেম বারি সহ তিনজন । সূত্র জানাচ্ছে, যে 11 জনের কলকাতায় এসে বৈঠক করার কথা ছিল, তাদের নেতা এই আসাদুল্লা । গোয়েন্দারা তার বিবির মারফত জানতে পারে তামিলনাড়ুতে আগে থাকত এই আসাদুল্লা । বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনের টাইম মিলিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, ফের তামিলনাড়ুতেই যাচ্ছে আসাদুল্লা । সেখানে বহুদিন থেকেছে এই জঙ্গি । ঠিকানা তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের 1/108 AA নগর, সেনালপুরম চেন্নাই । তার পরিচিত ছিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে ।

শেষরক্ষা হয়নি । পুলিশ পৌঁছে যায় চেন্নাইয়ে ইজ়াজ়ের ডানহাত আসাদুল্লার নেওয়া ভাড়াবাড়িতে । মঙ্গলবার সকালে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয় আসাদুল্লাকে ।

Intro:কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর: আলাপ শিমুলিয়া মাদ্রাসায়। দুজনকেই পছন্দ করতো কাওসর ওরফে বোমারু মিজান। জামাতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়ার তৎকালীন চিফ কওসর কথা বলিয়ে দিয়েছিল জামাত আমের সালাউদ্দিনের সঙ্গেও। তারপর থেকেই বলতে গেলে জুটি ইজাজ- আসাদুল্লাহ। এমনকি আন্ডারগ্রাউন্ডে তারা থাকতো একসঙ্গেই। একে অপরকে দিত প্রটেকশন! গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে। Body:কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে খবর, জামাতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়ার বর্তমান আমের ( সে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন আমের এখনো পর্যন্ত নির্বাচিত হয়নি বলে খবর) ইজাজকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে চার জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বিহারের গয়ার পাঠানতলীতে একটি ভাড়া বাড়িতে পরিচয় গোপন করে প্রায় দু'বছর লুকিয়ে ছিল ইজাজ। সেখান থেকে অবশ্য মাঝেমধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেত। এমনটাই জানিয়েছেন ওই বাড়ির মালিক। পাঠানতলীতে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে। মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রির কাজও করত। সেই সূত্রে সে ঘরে রাখত রাজমিস্ত্রির বিভিন্ন সরঞ্জাম। সঙ্গে পাঠানতলীর প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রোয়োজনে লোকজনের চিকিৎসা করত। সেই সূত্রে তার নাম হয়ে যায় ডক্টরবাবু। যদিও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন একাধিক নামে পরিচিত ছিল সে। কোথাও তার নাম ইজাজ মৌলবী। কোথাও আবার জিতু। আর তার আসল নাম তো ছিলই। শেখ ইউসুফ। এইসব সদ্য নামে সে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতো। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাজে তার এই সফর। দেশের কোথাও কোথাও সে ফেরিওয়ালা বেশও ধরেছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। এক্ষেত্রে সব সময় তার সঙ্গেই থাকত আসাদুল্লাহ। তবে পাঠানতলীতে থাকতো না সে। থাকতো পাঁচ কিলোমিটার দূরে।Conclusion:গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইজাজকে গ্রেপ্তার করার দিন আসাদুল্লাহ তিনটি এসএমএস করে তাকে। উত্তর না পেতেই সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী সতর্ক হয়ে যায় সে। প্রায় এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়ে গয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে। সঙ্গে ছিল স্ত্রী এবং পাঁচ ছেলে। তার স্ত্রী বর্তমানেও সন্তানসম্ভবা। তাদের সে তুলে দেয় কলকাতাগামী ট্রেনে। ইজাজকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আসাদুল্লাহর খোঁজ ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে‌। সেই সূত্রে বর্ধমানে তার স্ত্রীকে আটকায় গোয়েন্দারা। তখন তিনি সন্তানসম্ভবা অবস্থায় পাঁচ সন্তানকে নিয়ে প্রায় দিশেহারা। কিন্তু কলকাতা পুলিশকে ধোকা দেওয়া যায়নি। তাকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে পড়ে সত্যি। জানা যায়, ইজাজের ধরা পড়ার খবর পেতেই সক্রিয় হয় আসাদুল্লাহ। স্ত্রীকে নিয়ে পালায় গয়ার ডেরা থেকে। কোনও মতে আসে গয়া স্টেশনে। সেখান থেকে সে কলকাতাগামী ট্রেনে তুলে দেয় সন্তানসম্ভবা বিবি সহ সন্তানদের। তারা বর্ধমানে এসে নামে। প্রসঙ্গত বর্ধমানের ভাতারে বাড়ি আসাদুল্লাহের।

বর্ধমান স্টেশনে আসাদুল্লাহর বিবিকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারে, বিবিকে কলকাতাগামী ট্রেনে তুলে দিয়ে নিজে বেপাত্তা হয়েছে আসাদুল্লাহ। এরই মাঝে কলকাতায় মিটিং করার ছক করে জামাতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়া। সেই সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হয় কাশেম বারি সহ তিনজন। সূত্র জানাচ্ছে যে 11 জন কলকাতায় এসে বৈঠক করার কথা ছিল, তাদের নেতা এই আসাদুল্লাহ। গোয়েন্দারা তার স্ত্রীর মারফত জানতে পারে তামিলনাড়ুতে আগে থাকত এই আসাদুল্লাহ। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনের টাইম মিলিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, ফের তামিলনাড়ুতেই যাচ্ছে আসাদুল্লাহ। সেখানে বহুদিন থেকেছে এই জঙ্গির। চেন্নাই তার পরিচিত ছিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে।

শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশ পৌঁছে গেল চেন্নাই ইজাজের ডানহাতের নেওয়া ভাড়া বাড়িতে। গত মঙ্গলবার সকালে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় আসাদুল্লাহকে। জামাত-উল-মুজাহিদীন ইন্ডিয়ার শীর্ষ নেতা হিসেবে আসাদুল্লাহ কতখানি মানুষকে বোঝাতে পেরেছে সেটাই প্রশ্ন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.